জাতীয়

জয়পুরহাটে কিশোরীকে বেঁধে নির্যাতনকারী নারী গ্রেপ্তার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামে চায়ের দোকান থেকে ২শ টাকা চুরির অপবাদে আনিকা নামে ৯ বছরের এক কিশোরীকে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতন করায় অভিযুক্ত সেই বেলী আরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গতকাল সকালে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর দাদা আলম হোসেন বাদী হয়ে বেলী আরা ও রহিমা বেগম নামে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ধনতলা গ্রামের বাসিন্দা বেলী আরা বেগমের চায়ের দোকান থেকে ২শ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় তারই প্রতিবেশী স্থানীয় সমান্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আনিকাকে সন্দেহ করে একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা পুলিশের নজরে আসে।

এ বিষয়ে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সভ্য সমাজে এ ধরনের নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্ত নারীর

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, একটি শিশু ভুল করতেই পারে। তাই বলে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ ম-ল জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা এক কিশোরীর ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। পরে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা চার বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে আনিকা ও তার আরও একটি ছোট বোনকে কোনোমতে মানুষ করছেন তাদের দরিদ্র দাদা আলম হোসেন।