জাতীয়

টেবিলে সুইসাইড নোট, পাশে ঝুলছিল কলেজ ছাত্রের লাশ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যশোরের মণিরামপুরে রাকিব গাজী (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার চাকলা মাঠপাড়া থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে রাজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ। এ সময় তিন পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

রাকিব চাকলা মাঠপাড়ার আবু মুসা গাজীর ছেলে। সে কলারোয়া হাজী নাসিরুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ঘরে রাকিবের সৎ মা। সাত বছর বয়সে তার আপন মা লিলি বেগম তাকে ও লাবনী নামে এক মেয়েকে রেখে চলে যান। রাকিবের সৎ মা রেশমা বেগম জানান, মোটরসাইকেল না কিনে দেওয়ায় রোববার রাতে ঘরের আড়ার সাথে মাফলার পেঁচিয়ে রাকিব আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকাল সাতটার দিকে আমরা তাকে ঝুলে থাকতে দেখেছি।

এদিকে রাকিবের আপন মা লিলি বেগমের দাবি, সৎ মা রেশমা বেগম ও পিতা আবু মুসা রাকিবকে মেরে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।

তবে রাকিবের বোন লাবনী জানান, তার ভাই ঘুমের ওষুধ সেবন করত। মোটরসাইকেল না পেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। ছোটকালে মা আমাদের দুই ভাই-বোনকে রেখে চলে যান। এরপর থেকে সৎ মা আমাদের আপন সন্তানের মত মানুষ করেছেন। আমার মা এতদিন খবর নেননি। আজ ভাইয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এসেছেন। মা যা বলছেন সত্যি না। তিনি নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন।

এছাড়া উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে, ‘অ্যাপাচি’ মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ার কষ্টে রাকিব আত্মহত্যা করেছে। সে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া বাড়ির উঠানে দাফনের কথা উল্লেখ করেছে নোটে।

এদিকে রাকিবের এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না অনেকে। ফলে তার মৃত্যু আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে প্রতিবেশীসহ রাকিবের সহপাঠীদের। এছাড়া সুইসাইড নোট নিয়েও সন্দেহ তাদের। সোহান নামে রাকিবের এক সহপাঠী বলেন, রাকিব ঘুমের বড়ি খেতে। সে অ্যাপাচি মোটরসাইকেল কিনতে চাইছিল। এর জন্য রাকিব মরতে পারে না। রাজগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক লিটন বলেন, ঘুমের বড়ি খেয়ে রাকিব আত্মহত্যা করেছে না তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। প্রকৃত কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাগজে লেখা কিছু পেয়েছি। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাজগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহাজাহান আলম বলেন, রাকিবের মা যা বলছেন সেটা আবেগ। আমরা লাশ মর্গে পাঠিয়েছি।