জাতীয়

তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, এসআই কারাগারে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

এলাকার বখাটের অত্যাচারে থানায় জিডি করতে গিয়ে এসআইয়ের ধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী। সোমবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার পান্থপথ থেকে নিকেতনে তুলে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে।

মামলার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে এলাকার এক বখাটের অত্যাচারে রাজাধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে যান ভুক্তভোগী তরুণী। অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে না নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন থানার এসআই খায়রুল আলম।

ওই তরুণী জানান, ঘটনার পর থেকেই ওই পুলিশ সদস্য তার সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন। গত সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে অফিসে যাওয়ার সময় পান্থপথে খায়রুল ওই তরুণীকে দেখতে পান। এ সময় বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে তিনি ওই তরুণীকে মোটরসাইকেলে করে গুলশানের নিকেতনের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে মারধরের পর ধর্ষণ করেন এসআই খায়রুল।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, ঘটনার সময় এসআই খায়রুল ওই তরুণীর মুখ চেপে ধরে জোর জবরদস্তি ও তাকে মারধর করতে থাকেন। ভুক্তভোগী তরুণী চিৎকার করতে থাকলে তার ‍ওপর খায়রুলের মারধরের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। এতে নিজের জীবননাশের আশঙ্কায় চিৎকার বন্ধ করে দেন ওই তরুণী।

ওই তরুণী বলেন, ঘটনার পর আমি থানায় গিয়ে তার অফিসারদের জানায়। প্রথমে সে অস্বীকার করে। আমি তখন আমার শরীরে খামছি দাগ দেখায়। পরে সে যা যা করেছেন সবই স্বীকার করেন।

তরুণী জানান, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য খায়রুল তাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতিও দেখায়। পরে সোমবার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ জানালে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে গুলশান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেওয়া হয়।

তরুণী জানান, তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসআই খায়রুলের মোবাইল ফোন যাচাই করে ঘটনার সত্যতা পান। পরে এসআই খায়রুল সব দায় স্বীকার করে নেন।

এদিকে মামলা করার পর এসআই খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। এ সময় পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।