চট্টগ্রাম

দ্বিধার ফাঁদে ইউনিক আইডি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কোটি শিক্ষার্থীর অভিন্ন পরিচয়পত্র বা ইউনিক আইডি প্রদানের কাজ করছে সরকার। চলমান সেই প্রকল্পে এখন চলছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রদান করা চার পৃষ্ঠার ফরম পূরণ ও সে সব তথ্য সার্ভারে ইনপুট দেওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও জটিলতায় পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক উভয় পক্ষই। ঠিক এ কারণে ভেস্তে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদানের কার্যক্রম।

এদিকে, নগরীর অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত তথ্য ও পরিচয় পত্র চাওয়া হচ্ছে। সে সব তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে অভিভাবকদের কখনো যেতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে, আবার কখনো ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে। এমন দৌড়ঝাঁপে ও বিড়ম্বনায় পড়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে শিক্ষার্থীর অভিন্ন ইউনিক আইডি প্রদানের কাজ।

অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে ইউনিক আইডি প্রদান প্রকল্পের জন্য পাঠানো ফরমে তথ্যই অভিভাবকদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোন কোন অভিভাবক প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে। কারো আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাগজপত্রের সাথে তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সার্ভারে সেসব তথ্য ইনপুট দিলেও ভেরিফাই করা হচ্ছে না।

এদিকে এসব নানামুখী সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিক আইডির আইইআইএমএস প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. নাসির উদ্দিন গণি পূর্বকোণকে বলেন, অত্যন্ত সহজ একটি কাজকে সকলে জটিল করে ফেলছে। সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার পরেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত কাগজপত্র ও তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা পেয়েছি।

কিন্তু বাস্তবে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও বাবা-মায়ের যে কোন একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির ফরম পূরণ করতে পারবে। যদি বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে সেক্ষেত্রে তাদের যেকোন একজনের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে।

এমনকি কোন শিক্ষার্থীর যদি বাবা-মা নাও থাকে সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর একজন অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ থাকলেই ইউনিক আইডির ফরম পূরণ করা যাবে। এতো সহজ বিষয়টিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকগণ নানাভাবে জটিল করে ফেলছে।

এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের তথ্যে মিল না থাকলে করণীয় প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন গণি বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের তথ্যে বা বানানে মিল না থাকলেও পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন করে ফেলতে হবে। তবে সেটি আনভেরিফাইড অবস্থায় থেকে যাবে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের তথ্য এক করা হলে ইউনিক আইডির সার্ভার সেটি আপনা আপনি ভেরিফাই করে নিবে। অর্থাৎ পুনরায় তথ্য ইনপুটের প্রয়োজন পরবে না।

উল্লেখ্য, আগামী বছরের শুরুতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চলতি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ইউনিক আইডির ফরম পূরণের পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে। ফরমের তথ্য সার্ভারে ইনপুট করে আগামী বছরের শুরুতেই পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি তুলে দেয়ার প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।