জাতীয়

ধর্ষণের অভিযোগকারী সহকর্মীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন এসপি মোকতার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারী পুলিশ পরিদর্শককে আপসে বিয়ে করে জামিন পেলেন আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোকতার হোসেন। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে থাকার সময় ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওই নারী সহকর্মী।

সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আফরোজা আহমেদ অরেঞ্জ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান এসপি মোকতার। অভিযোগকারী ওই নারীও এসময় আদালতে হাজির ছিলেন। জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে লিখিতভাবে জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তাঁরা আপস করে বিয়ে করেছেন। এরপর বাদী বলেন, আসামির জামিনে আপত্তি নেই। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আদেশ দেন।

পিপি আরও বলেন, গত বছরের ১২ আগস্ট ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামসুন্নাহারের আদালতে ধর্ষণের মামলাটি করেন। মামলা শেষে বিচারক উত্তরা পশ্চিম থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এরপর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এসপি মোকতারকে আসামি করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন।

পরে মামলাটি বদলি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়ে আসে। সেই ট্রাইব্যুনালে বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে বাদী ও আসামি দুজনই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় যান। তিনি বাদীর ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে জাপটে ধরেন এবং ধর্ষণ করেন।

এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং হুমকি-ধমকি দেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বাদী এ বিষয়ে পুলিশ বিভাগে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগটি চলমান রয়েছে।

পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাটে কর্মরত রয়েছেন।