প্রধান পাতা

ধর্ষণ-গর্ভপাতে মৃত্যু: ৩৯ দিন পর সেই স্বর্ণার লাশ উত্তোলন


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দাফনের ৩৯ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে স্বর্ণার লাশ উত্তোলন করেছে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (২১ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর মাদ্রাসার কবরস্থান থেকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশপিয়া তাসরিন’র উপস্থিতিতে স্বর্ণার মরদেহ তোলা হয়। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-গৌরীপুর সার্কেল এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জহিরুল ইসলাম মুন্না, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই ফারুক আহমেদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। লাশ উত্তোলণ দেখতে এসে ভিড় করে হাজার হাজার উৎসুক জনতা। 

জানা যায়, কিশোরীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতে মৃত্যুর ঘটনায় গত ২৩ মে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রাফিজুল ইসলামের কাছে মামলার আবেদন করেন নিহতের পিতা স্বপন মিয়া। 

পরদিন ২৪ মে ময়মনসিংহ জেলা ও জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. মকবুল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিলে উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, নিহতের মা আছমা, দুলাল মিয়া ও মাহাবুবুল আলমকে আসামি করে থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। যার নং ২৯, তারিখ ৩১/০৫/২১। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী স্বপনের মেয়ে স্বর্ণা (১৬) কে বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে চেয়ারম্যান শফিক। এক পর্যায়ে কিশোরী স্বর্ণা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে আসামিরা বিপাকে পড়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই কিশোরীকে কবিরাজী ওষুধ সেবন করায়। 

এতে অন্তঃসত্ত্বা স্বর্ণার ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হলে গত ৯ মে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার করে। কিন্তু আসামিরা স্বর্ণাকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়ী নিয়ে আসে। 

পরদিন তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় ১১মে ভিকটিমকে ঢাকায় ন্যাশনাল নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২মে রাত ২টার দিকে মৃত্যু হয় স্বর্ণার। লাশ ঢাকা থেকে এনে ভিকটিমের বাড়ি থেকে প্রায় আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার ইসলামপুর মাদ্রাসার কবরস্থানে কর্তৃপক্ষের অনুমতিবিহীন লাশটি দাফন করা হয়। 

পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করার জন্য আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১১:৪৫ মিনিটের দিকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর সার্কেল এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।