আন্তর্জাতিক

নারী ভোটার টানতে মোদির মুখে ‘তিন তালাক’


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পশ্চিমবঙ্গে বিধান সভার নির্বাচনে লড়াইয়ে মেরুকরণের নানা প্রসঙ্গের মধ্যেই এবার ‘তিন তালাক’ নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকার ‘তিন তালাক’ প্রথা রুখতে কড়া আইন করলেও তৃণমূল তার বিরোধিতা করে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার (১০ এপ্রিল) রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন এক সভায় এসব কথা বলেন মোদি। এদিন পশ্চিমবঙ্গে দুটি সভা করেন তিনি। প্রথমটি শিলিগুড়িতে ও পরেরটি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।

কৃষ্ণনগরে আয়োজিত সভায় মোদি বলেন, ‘মুসলমান মা বোনেরা দিদিকে (মমতা বন্দোপাধ্যায়) অনেক সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু দিদি তাদের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ করেছেন। তাদের ‘তিন তালাক’ প্রথা থেকে মুক্ত করতে কড়া আইন করেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু দিদি মুসলিম বোন ও কন্যাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন।’

মুসলিম নারীরাও স্বাধীনতা চান, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চান উল্লেখ করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘দিদি মুসলিম মেয়েদের থেকে কট্টরপন্থীদের কথা বেশি চিন্তা করেছেন।’

এরপর হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘এই মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব মা, বোন, কন্যাকে বলছি, ডাবল ইঞ্জিন সরকার আপনাদের ভালোর জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে।’

দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, তৃতীয় দফার ভোটের আগে হুগলির তারকেশ্বরে মমতার একটি মন্তব্যে সংখ্যালঘু ভোট এককাট্টা করার স্পষ্ট বার্তা ছিল বলে আগেই অভিযোগ করে বিজেপি। তারকেশ্বেরের ওই সভায় নাম উচ্চারণ না করে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা সেকুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (আইএসএফ) প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ভোট ভাগের অভিযোগ করেছিলেন মমতা।

নাম উচ্চারণ না করে আব্বাসকে লক্ষ্য করে মমকতা বলেন, ‘সংখ্যালঘু ভাইবোন, আপনাদের কাছে হাতজোড় করে একটা কথা বলব, ওই শয়তান ছেলেটা যেটা বের হয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে, তার কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। তিনি অনেক সাম্প্রদায়িক কথা বলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। তিনি বিজেপির আর একটা শাগরেদ। একেবারে বিজেপির কমরেড। বিজেপির টাকা নিয়ে বের হয়েছেন, যাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে যায়।’ এই মন্তব্যের জন্য ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন নোটিশ পাঠিয়েছে মমতাকে।

তবে তার আগেই গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন পাল্টা আক্রামণ করেন মোদি। সেদিন কোচবিহারের সভা থেকে মোদি বলেন, ‘আপনি জনসভায় যা যা বলছেন, তা বললে আমাকে এতদিনে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পেতে হতো। সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় বিভাগ ভরে যেত সমালোচনায়। আপনি বলছেন, ‘মুসলিমরা একজোট হয়ে ভোট দাও’। আমি যদি বলতাম, ‘হিন্দুরা জোট বেধে বিজেপিকে ভোট দাও’, কেমন হত ভাবুন তো?’

মুসলিম ভোটের ভাগাভাগি নিয়ে চাপানউতরের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন মোদি। তবে শুধু মুসলিম নারীদের কথাই নয়, মোদি তার কৃষ্ণনগরের বক্তব্যে নারীদের নিয়ে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে নারীদের আস্বস্ত করে বলেন, ‘বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে, ডাবল বেনিফিট দিয়ে ডাবল স্পিডে কাজ করবে।’

নরেন্দ্র মোদির এই সভায় কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় ছাড়াও পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ যেসব আসনে সেসব আসনের অনেক প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।