আন্তর্জাতিক

নাসা’র পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি গবেষক চৈতী


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘ল্যান্ডস্যাট ক্যাল/ভাল’ দলকে মর্যাদাপূর্ণ রবার্ট এইচ. গডার্ড পুরস্কার ২০২২–এ ভূষিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মনীষা দাস চৈতী।

দলটি নাসা গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে আর্থ রিসোর্সেস অবজারভেশন অ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার (ইআরওএস), সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি, রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা এবং নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি নিয়ে গঠিত।

বাংলাদেশের মেয়ে মনীষা পড়াশোনা করেছেন খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে (কুয়েট)। বর্তমানে তিনি রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি করছেন। তিনি একটি অ্যাবসলিউট ক্যালিবারেশন মডেল তৈরি করার মাধ্যমে এই প্রকল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এটি সর্বোচ্চ স্তরে সক্রিয় ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট ডাটার গুণমান বজায় রাখতে এবং ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট মিশনের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করার ক্ষেত্রে ক্যাল/ভাল টিমের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট ডাটা পণ্যটি নগর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হয়।

এ সম্পর্কে ইউএসজিএস ইআরওএস ক্যাল/ভ্যাল–এর ম্যানেজার কোডি অ্যান্ডারসন বলেন, এমন অসাধারণ কাজের জন্য অত্যন্ত পরিশ্রমী, নিবেদিত, বড় ও আত্মবিশ্বাসী দলের প্রয়োজন, ল্যান্ডস্যাট ক্যাল/ভাল তেমনই একটি দল। পরবর্তীতে ল্যান্ডস্যাট নেক্সট মিশনের জন্য পরিকল্পনা করছে দলটি।

এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কারের অংশ হতে পেরে মনীষা দাস চৈতী বলেন, এটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। সামনের দিনগুলোতে এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহী দেশের শিক্ষার্থীদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার এই অর্জন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরও মহাকাশ বিষয়ক পড়াশোনায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।

গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ব্যতিক্রমী কৃতিত্বের জন্য গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার ১৯৬১ সাল থেকে রবার্ট এইচ. গডার্ড পুরস্কার দিয়ে আসছে। মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এই পুরস্কারকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার তাত্তাকান্দা গ্রামের প্রয়াত ব্যাংক কর্মকর্তা শত্রুঘ্ন চন্দ্র দাসের ছোট মেয়ে মনীষা দাস চৈতী। তার অন্য দুই বোন বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।