জাতীয়

নির্বাচন হচ্ছে আল্লাহর হুকুমে: হাইকোর্ট


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সব কিছু তো আল্লাহর হুকুমেই হয়। পাঁচ মাস আগে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটাও আল্লাহর হুমুকেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে রিটকারী আইনজীবীকে আদালত প্রশ্ন করেন আপনি কেন নির্বাচন নিয়ে সংক্ষুব্ধ হলেন। তখন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আমরা শপথ নিয়েছি। জনস্বার্থে অনেক মামলা করে রায়ও পেয়েছি। আদালত বলেন, রিটে আপনি কি চেয়েছেন। আইনজীবী বলেন, তফসিল স্থগিত চেয়েছি।

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আরও পাঁচ মাস সময় রয়েছে। অথচ তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করতে চাচ্ছে কমিশন। অনেক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। এই অবস্থায় নির্বাচন প্রি-ম্যাচিউড।

ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। মন্ত্রিসভা ছোট করতে হবে। এসব কিছুই করা হয়নি।

হাইকোর্ট বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধানের মধ্যে থেকে তাদের সুবিধামত সময়ে নির্বাচন দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে। আর এক সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তো ২০১৮ সালে সেটেল হয়ে গেছে। শুনানিতে এক পর্যায়ে সংবিধানের ১২৩(৪) অনুচ্ছেদে দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কারণে সংসদের মেয়াদ শেষে নির্বাচন প্রসঙ্গ আসলে আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সব কিছু তো আল্লাহর হুকুমে হয়। তখন হাইকোর্ট বলেন, ৫ মাস আগে যে নির্বাচন সেটাও তো আল্লাহর হুকুমেই হচ্ছে।

এরপর শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, এটা সাংবিধানিক বিষয়। সংবিধানের মধ্যে থেকে শুনানি করতে হবে। আপনি ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে আসুন। আগামীকাল আবারও এ বিষয়ে শুনবো।

গত ২৯ নভেম্বর বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।