জাতীয়

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক সম্পর্কে ফেসবুক লাইভে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।

পল্টন থানার ওই মামলায় সম্প্রতি এ চার্জশিট দাখিল হয়েছে। আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ চার্জশিট দাখিল করেন।

এসআই শাহ আলম জানান, চার্জশিটে আসামি নুরুল হক নুর পলাতক মর্মে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ হয়েছে।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি নুরুল হক নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ফেসবুকে লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এর মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে। তিনি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করেন।

এদিকে, মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছে সিএমএম আদালত। মামলার পরবর্তী বিচার সংশ্লিষ্ট আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, আসামি নুরুল হক নুরের ফেসবুক লাইভের ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্যের ভেতর সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়, নুরের বক্তব্য আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে। তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

নুর ও তার সহযোগী-সমর্থকদের আইনের আওতায় আনা গেলে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে।