চট্টগ্রাম

পকেট কাটার উৎসব বন্ধের আহবান জানিয়েছে ক্যাব


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সিলেট, সুনামগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের দেশের প্রায় ১১টি জেলায় বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। পানিবন্দী এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন।  স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যায় মানুষ অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার, হাসপাতাল বন্ধ, বিমান, রেল, মহাসড়কসহ সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ইত্যাদি সেবা প্রায় বন্ধ। চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতায় পুরো নগরী তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধ্বস বেশ কিছু প্রাণহানিও ঘটেছে। এ অবস্থায় বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৫০ টাকার নৌকার ভাড়া ৫০ হাজারে, ১০ টাকার মোমবাতি ১০ টাকায়, ৫০ টাকার পাউরুটি ৫০০ টাকায় হাঁকা হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ত্রাণ বিতরণের চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও সেবায় জনগনের পকেট কাটার উৎসব বন্ধের আহবান জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি

সেমাবার ২০ জুন ২০২২ইং বন্যাউপদ্রুত এলাকায় খাদ্য ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃব্দৃ বলেন, একশ্রেণীর অসাধু গুটিকয়েক ব্যবসায়ী মানুষের সংকটকে পুঁজি করে জনগনের পকেট কেটে কোটিপতি হবার বাসনায় উন্মাদ হয়ে যান। তখন মানবতা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। সেকারনে আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম এর তথ্য মতে বিশে^ করোনা মহামারীকালে ধনী ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি  পেয়েছে। “দুর্যোগ মহামারী কারো জন্য পৌষ মাস আবার কারো জন্য সর্বনাশ”। দেশে করোনা মহামারীকালেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা ও অগ্নিমূল্য, ক্লিনিকে চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ অক্সিজেন সিলিন্ডারের অগ্নিমূল্য আদায়ের বিষয়টি জাতি এখনও ভূলতে পারে নি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন যে কোন পুজা, পার্বন, ঈদ উৎসবে আমাদের ব্যবসায়ীরা যেভাবে অতিরিক্তমূল্য আদায়ে একযোগে সোচ্চার হন তা কতটুকু নৈতিক ও যুক্তিসংগত? আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে পণ্যমূল্যের দাম একযোগে বাড়ালেও আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমার পরে “আমার উল্টো সুর বেশী দামে কেনা” এ সমস্ত বিষয়গুলো কোনধরনের মানবিক ও নৈতিকতাপূর্ণ। তাই সাধারণ ভোক্তাদেরকে সংকটকালীন সময়ে জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে সংকটাপন্ন ও বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের পরিবর্তে ব্যবসায়ীক নীতি ও নৈতিকতা মেনে লাভ করে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, করপোরেট হাউসসহ দেশের বিত্তবানদের বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।