জাতীয়

পাগলা মসজিদের দান বাক্সে দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

মসজিদের দান বাক্সে কোটি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার আর বিদেশি মুদ্রা। দেশের কোন মজজিদের দান বাক্সে এত পরিমাণ টাকা পাওয়ার নজির না থাকলেও কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ একেবারেই ব্যতিক্রম। এবারও মাত্র ৫ মাসে মসজিদের দান বাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫হাজার ৫৪৫ টাকা। মিলেছে, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রা। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দান সিন্দুক খোলার পর গণনা শেষে বিকেলে টাকার এই হিসেব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও অন্যবারের চেয়ে পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে।

এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগস্ট দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার ৫ মাস ৪ দিন পর এসব দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। করোনাকালে এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট ৬ মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার সবচেয়ে বেশি ১৪ বস্তা টাকা হয়েছে। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ মাদরাসার ৬০ জন ছাত্রশিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম পাগলা মসজিদের টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, পাগলা মসজিদকে একটি অন্যতম আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশিষ্টজনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এ সময় পাগলা মসজিদের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলুসহ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।