জাতীয়

পা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে প্রতিবন্ধী মানিক


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কু‌ড়িগ্রা‌মের ফুলবাড়ী উপ‌জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মানিক রহমান পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

তার জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। দুই পা থাকলেও একটি লম্বা ও অন্যটি খাটো। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতোই ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে পা দিয়ে নিজের ল্যাপটপ চালিয়ে পরীক্ষার ফল বের করে মানিক। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর মানিকের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে সবাই মুগ্ধ।

বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ উপজেলা বাসীর মুখ উজ্জল করেছে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী।

মানিক রহমানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মা প্রভাষক মরিয়ম বেগমের ছেলে মানিক।

বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে পুঁজি করে তিনি পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জেএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

পা দিয়ে লিখে শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, মানিক পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী। তাই মানিক রহমান ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সবার দোয়া কামনা করেন।

মানিক রহমান বলেন, আমার দুটো হাত না থাকলেও আল্লাহর রহমতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এর আগে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পাই।

সবাই দোয়া করবেন আমি যেন এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।

মা মরিয়ম ও বাবা মিজানুর বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে। মানিক বড়। সে প্রতিবন্ধী, এটা আমরা মনে করি না। জন্ম থেকেই তার দুই হাত না থাকলেও ছোট থেকে আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।

এভাবে লিখে অন্যদের চেয়ে পিএসসি ও জেএসসির পাশাপা‌শি এবা‌রের এসএস‌সি‌তেও ভালো রেজাল্ট করেছে। এটা আমাদের গর্ব। সবাই আমাদের ছেলের জন্য দোয়া করবেন, সে যেন সুস্থ-সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে, স্বাবলম্বী হতে পারে। সে যেন তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।

ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও মানিক রহমান অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এ দোয়া করি।