জাতীয়

ফুল দিতে পারবেন প্রতি সংগঠনের ৫ জন, ব্যক্তিপর্যায়ে ২ জন


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনা সংক্রমণ রোধে আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবারও সীমিত আয়োজনে পালিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পনের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ জনকে একসঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ব্যক্তিপর্যায়ে ফুল দিতে পারবেন একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উদযাপন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনার কথা জানায়।

এতে বলা হয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপির সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাস্ক ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে মাতৃভাষা পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

একুশে ফেব্রুয়ারির দিনের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষাআন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।