আন্তর্জাতিক

ফের সিনেটে রেহাই পেলেন ট্রাম্প


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কংগ্রেস ভবনে কলঙ্কজনক হামলার ঘটনায় অভিশংসিত হলেও শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত অভিশংসন শুনানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে ক্যাপিটল দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগ ছিল। সিনেটের বিচারে আবারও রেহাই পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সিনেটের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভোটাভুটিতে ৫৭ জন সিনেটর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে মত দিলেও বিপক্ষে পড়ে ৪৩ ভোট।

পাঁচ দিনের এই শুনানিতে ট্রাম্পের বিরোধীপক্ষ ডেমোক্র্যাটদের (বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল) অভিযোগ ছিল, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়ে ফল বাতিলের উদ্দেশ্যে মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের উস্কে দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেয়া শপথ ভঙ্গ করেছেন তিনি। তবে ৫৭-৪৩ ভোটে এ শুনানি শেষ হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত করার জন্য ট্রাম্পের বিপক্ষে অন্তত ৬৭টি ভোটের প্রয়োজন ছিল।

গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে নজিরবিহীন সেই হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে তার দল রিপাবলিকান পার্টির সাতজন সিনেটরকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ডেমেক্র্যাটরা। কিন্তু তাদের অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন ছিল।

সিনেটের অভিশংসন বিচার মূলত একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, ফৌজদারি বিচার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ কোনো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করলে তাকে ওই পদ থেকে অপসারণের জন্য সিনেটে এই বিচারের আয়োজন করা হয়।

গত নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ইতোমধ্যে তার মেয়াদ শেষে বিদায় নিয়েছেন। অভিশংসন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তার আবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথও বন্ধ করার সুযোগ ছিল। তবে সেই চেষ্টায় সফল হতে পারেনি ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটের বিচারে রেহাই পাওয়া ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন বৈধ প্রার্থী বিবেচিত হবেন, যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আর সিনেটের ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তার ‘অভিযাত্রা চলবে’। ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দুইবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। তবে সেবারও সিনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।