জাতীয়

বসুরহাটের মতো ভোট চান প্রধানমন্ত্রী


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “বসুরহাটে যে নির্বাচন হয়েছে এমন নির্বাচনই চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনকে অনেকেই স্বচ্ছতার জন্য ‘বসুরহাট মডেল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।”

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয়ধাপে যে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হলো তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল বসুরহাট। সেখানে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার কাছে পাত্তাই পেল না বিএনপি ও স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা জামায়াতের প্রার্থী।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী মিলিয়ে যত ভোট পেয়েছেন, কাদের মির্জা একাই পেয়েছেন তার তিনকগুণ বেশি ভোট। নয়টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ১০ হাজার ৭৩৮টি। বিএনপির ধানের শীষে ভোট পড়েছে এক হাজার ৭৭৮। জামায়াত নেতার মোবাইল ফোনে পড়েছে এক হাজার ৪৫১টি।

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল বসুরহাট নিয়ে। প্রচারের সময় মির্জা সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নেমে দেশজুড়ে মনযোগের কেন্দ্রে আসেন।

কাদের মির্জা বলেছিলেন, একটি ভোটও যদি কারচুপি করে নেয়া হয়, তাহলে তিনি মানবেন না। প্রশাসন কারচুপি করলে পা ভেঙে মোড়ে ঝুলিয়ে রাখার কথাও বলেন। অবশ্য ভোটের দিন আর কোনো অভিযোগ করেননি কাদের মির্জা।

তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ নেই তার, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

বসুরহাটের এমন নির্বাচনকে মডেল বলছে ওবায়দুল কাদের। বিকেলে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এখানে বিএনপি প্রার্থীও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বসুরহাটে যে নির্বাচন হয়েছে এমন নির্বাচনই চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনকে অনেকেই স্বচ্ছতার জন্য ‘বসুরহাট মডেল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের, ‘দেশের ভোটের সংস্কৃতি নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ভোটাররাই দিয়েছে। বিএনপি ভোটে হারার আগেই হেরে বসে থাকে। তারা রাজপথ ভয় পায়, আন্দোলনেও ভয় পায়।নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। সেখানেও অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে নিজ দলের প্রার্থীর কথা অনুধাবন করুন।’

তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে মাঝে মধ্যে। তারা কল্পিত অভিযোগ এনে ভোটের মাঠ ত্যাগ করে তাদের চর্চিত নেতিবাচক রাজনীতির ঐতিহ্য ধরে রাখার অপচেষ্টা করে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপি মুখে স্বচ্ছতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তিবিমুখ এবং পিছিয়ে পড়া ধ্যানধারণা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রয়াস বিএনপি অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে, তা আর হালে পানি পাচ্ছে না। জনগণ এখন আর বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে না।’