চট্টগ্রাম

বাস চলেছে তবে দ্বিগুণ ভাড়ায়


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রবিবার দুপুর ১২টা। বহদ্দারহাট মোড়ে অপেক্ষমাণ ২০-২৫ জন যাত্রী। সবার প্রাথমিক গন্তব্য শাহ আমানত সেতু সড়ক। এরমধ্যে একটি ম্যাক্সিমা টেম্পো এসে থামলো। চালকের ডায়লগ ওঠানামা ‘ভাড়া ১০’। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের কয়েকজন প্রতিবাদ করতেই চালকের দাবি, না পোষালে অন্য গাড়িতে যান। তেলের দাম বেড়েছে, তাই ভাড়াও বাড়তি দিতে হবে।

জানতে চাইলে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের একজন রেজাউল করিম বলেন, আমি বহদ্দারহাট থেকে চান্দগাঁও যাবো, সেখানেও ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা দাবি করছে। অন্যদিকে, মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট ১৫ টাকা দিয়ে এসেছি। পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছেমত ভাড়া দাবি করছে। তাদের দাবিকৃত ভাড়া না দিলে যাবে না।

একই অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা খানম। তিনি বলেন, কালামিয়া বাজার থেকে ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার জন্য বের হয়ে বিপাকে পড়েছি। একদিকে, সড়কে পরিবহন সংকট। অন্যদিকে, দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিক। এক কথায় আমরা সবাই পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি। প্রায় ৩০ মিনিট হবে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছি। কোনো পরিবহনে আসন খালি নেই, আবার কোনোটিতে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে।

তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নগরীতে গণপরিবহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। একদিকে, নগরীজুড়ে সকাল থেকে গণপরিবহনের সংকট ছিল। অন্যদিকে, সড়কে চলমান গণপরিবহনগুলো দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করেছে। টেম্পো, বাস-মিনিবাস সবার একই ডায়লগ, উঠা-নামা ‘ভাড়া ১০’। ভাড়া নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চালক ও হেলপারের সাথে বাগবতি-ায় জড়ান যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

নগরীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবতি-া হয়। তবে কোথাও কোন সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে একাধিক চালকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এমনিতে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট চলছে। আমাদের নেতারাও গাড়ি বের করতে নিষেধ করেছেন। তারপরও পেটের দায়ে আমরা গাড়ি বের করেছি। এরমধ্যে তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। তাহলে আপনারাই বলুন পূর্বের  ভাড়া কি আমাদের পোষাবে। তাই কিছুটা ভাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।

ধর্মঘটের দু’দিন পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের একটি অংশ গতকাল (রবিবার) ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে গত শুক্রবার ও শনিবারের তুলনায় গতকাল (রবিবার) সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়তি ছিল।

উল্লেখ্য, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার অঘোষিতভাবে বাস, ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা।