Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের মৃত্যুতে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি। তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিচারপতি আমির হোসেন মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিচার বিভাগের বিচারকাজ আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি।
দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি আমির হোসেনের মরদেহের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আমির হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন
বিচারপতি আমির হোসেন ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ও এল.এল.এম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সলের ৬ মে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। গাজীপুর জেলা জজ থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সবশেষে ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি আমির হোসেনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জীবদ্দশায় এ বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, তুরস্ক, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস সফর করেছিলেন।
