জাতীয়

বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি ভবনে এই বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শতাধিক মানুষকে।

এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে মোট ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা হলেন কুমিল্লার মেঘনা থানার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী মো. সুমন(২১), তিনি রাজধানীর ১ নম্বর সুরি টোলা বংশাল এলাকার পরিবারসহ থাকতেন। বরিশাল জেলার কাজির হাট থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের ইসহাক মৃধা(৩৫), তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী ২ নম্বর রোড বসবাস করতেন ও ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা মুনসুর হোসেন (৪০)। ৯৭ লুৎফর রহমান লেন, আলু বাজারের বাসিন্দা মো. ইসমাইল (৪২)। চাঁদপুর জেলার মতলব থানার পশ্চিম লালপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (২৩), তিনি বিবিএ ছাত্র ছিলেন। কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চৈনকুটিয়া গ্রামের রাহাত (১৮)। ১১৫/৭/৫ ইসলাম বাগ, চক বাজার থানার মমিনুল ইসলাম। একই এলাকার নদী বেগম (৩৬)। জেলা মুন্সিগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন (৫০)। ৪৭ নং কে পি ঘোষ ষ্ট্রিট, বংশাল এলাকার নাজমুল হোসেন (২৫), তিনি আজাদ স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। মানিকগঞ্জ সদরের চর বেউথা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হাসান বাবুল(৫৫)। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর। ১৮/১ আগামাসি লেন, বংশাল এলাকার আকুতি বেগম(৭০)। মীর হাজারীবাগ যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. ইদ্রিস মির(৬০)। যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলের নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫) ও বংশাল থানার সিদ্দিক বাজার জাবেদ গলি এলাকার হৃদয় (২০)। মো. সম্রাট (২২) ও মোহাম্মদ সিয়াম (২০)।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, এ পর্যন্ত ১৮ জন মারা গেছেন। আর আহত শতাধিক। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। মোট পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণের কী কারণ মনে করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ বলেন, ‘এখন প্রাথমিকভাবে আমরা কারণ বলতে পারছি না। খালি চোখে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। বিস্ফোরকের কোনো গন্ধ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে কোনো স্প্লিন্টার পাওয়া যায়নি। তবে সকল বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি, আমাদের বিশেষজ্ঞদল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। দুয়েক দিন পরে বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।’