প্রধান পাতা

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নারীকে পিটিয়ে-এসিড ঢেলে হত্যা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যশোরের অভয়নগরে চামড়ার কারখানায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কেয়া খাতুন (৩০) নামে এক নারী শ্রমিককে রড দিয়ে পিটিয়ে ও এসিড দিয়ে ঝলসে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রমিক শামীম হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার শামীম হোসেন উপজেলার রাজঘাট মাইলপোস্ট এলাকার খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহত কেয়া খাতুন অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের মেয়ে। তারা উভয়ে একই মিলের শ্রমিক।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, সোমবার দুপুরে বিরতির সময় উপজেলার তালতলা এলাকায় যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি চামড়ার মিলের ক্যান্টিনে বসেছিলেন কেয়া। এ সময় তার পাশে এসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন শামীম। প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু। এক পর্যায়ে শামীম তার হাতে থাকা লোহর রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করে।

কেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিলের ভেতর থেকে একটি মগে এসিড এনে তার শরীর ও মুখে ঢেলে দেন শামীম। কেয়ার চিৎকারে ক্যান্টিনের ভেতরে থাকা শ্রমিকরা শামীমকে ধরে মিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ আহত কেয়াকে খুলনা আদ-দ্বীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং শামীমকে অভয়নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেয়া মারা যায়। সে স্বামী পরিত্যক্তা ছিল। ১০ বছর ধরে ১১ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান নিয়ে সে গ্রামে বসবাস করে আসছিল। একই মিলে চাকরি করায় শামীম দীর্ঘদিন ধরে কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় শামীম তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। খুনি শামীমের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, পরকীয়া প্রেমের কারণে এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে আটক শামীম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।