জাতীয়

ব্যতিক্রমী রায় দিলেন ঢাকার আদালত


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিককে ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় তিন আসামিকে দশটি গাছ রোপনের ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটিডের আরেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল হোসেন দেওয়ান, মানিক হোসেন দেওয়ান এবং মুজাহিদুল ইসলাম।

রায়ে আসামিদের অপরাধের শাস্তির পরিবর্তে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে ৬ মাসের সময়কালের জন্য নিম্নলিখিত সাজা দেন আদালত। তা হলো, এ সময় আসামিরা কোনোরূপ অপরাধের সাথে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। দুই পক্ষ শান্তি বজায় রাখবেন ও ভালো ব্যবহার করবেন। তাদের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করবেন। আদালত এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। প্রবেশনকালীন আসামিরা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে ১০টি গাছ ( ৫টি বনজ ও ৫টি ফলজ) রোপন করবেন।

প্রবেশনের সময় আসামিরা এসব শর্ত ভঙ্গ করলে বা তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হলে প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন। অপরাধের শাস্তি হিসেবে ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, সাক্ষ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার দিন ও সময়ে ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার জেরে বাদী ও আসামি জুয়েল হোসেন দেওয়ানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বাদীর হাতে থাকা মোবাইল সেটটি ভেঙে যায়। আসামিরা চিৎকার চেঁচামেচি করে ও বাদীকে হুমকি দেয়।

রায়ের পেছেনে বাদী ও আসামির মধ্যে সম্পর্ক, সাময়িক উত্তেজনার বশে ভয়ভীতি দেখানো এবং এগুলো ভুলে স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন আদালত। যেখানে উত্তজনাকে সাময়িক বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টিকে লঘু অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে বিকল্প দণ্ডের পথে হেটেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার জেরে ভয়ভীতি দেখানো ও মোবাইল ভাঙার ঘটনায় দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিক ২০১৭ সালের ৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই থানার এসআই হোসনা আফরোজ ওই বছরের ১৮ জুলাই তিন জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।