জাতীয়

ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম ঠিক করে দিলো সরকার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার অস্থিতিশীল থাকায় দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় ভোজ্যতেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিলে গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটার মিলগেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৈঠকে ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। সব হিসেব-নিকেশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঘোষণার পর শক্ত হাতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিপিং কস্টও বেড়েছে, জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে।

ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেল আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট আরও যৌক্তিক হারে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান টিপু মুনশি।

ভোজ্যতেলের মূল্য অস্থিতিশীল থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা প্রতি মাসেই করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বিএফটিআইয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্যনীতি) আবু রায়হান আলবেরুনী, এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিউল আফসার তাজলিম, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কিছুদিন ধরেই অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার। দফায় দফায় বাড়ছে দাম। চলতি মাসে দাম বেড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে।