জাতীয়

মরুভূমির তপ্ত বালির ওপর গাছ লাগাবে রোবোট


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ছোট্ট একটি রোবোট। তপ্ত বালির ওপর ঘুরে ঘুরে বীজ লাগাবে সারিবদ্ধভাবে। তা থেকে গাছ জন্মে সবুজে ছেয়ে যাবে মরুভূমি। এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন দুবাই ইন্সটিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশনের ছাত্র মাজিয়ার ইতেহাদি। ‘সিডবোট’ নামের এ প্রযুক্তি সম্প্রতি উপস্থাপিত হয়েছে দুবাইয়ের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে।

কোভিড মহামারির কারণে এবার দুবাইয়ের এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আংশিকভাবে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ‘মিনা’ (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) নামে প্রদর্শনীর একটি অংশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দর্শকদের উপস্থিতিতেই। খবর সিএনএনের।

বিশ্ব জলবায়ু সংকটের উদ্বেগের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন ওই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী তরুণ উদ্ভাবকরা। শুধু বীজ বপনের রোবোটই নয়, সমুদ্রের প্লাস্টিক বর্জ্য বৃদ্ধি রোধের জন্য উদ্ভাবিত প্রযুক্তিও উপস্থাপিত হয়েছে প্রদর্শনীতে।

‘ওয়াস্টোলজি’ নামের এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দালিলা মানসুর ও কায়া তুয়েনি। মানুষের দৈনন্দিন পোশাকের সঙ্গে মিশে থাকা প্লাস্টিক উপাদান আটকাতে ওয়াশিং মেশিনে স্থাপনের জন্য একটি ছাঁকনি উদ্ভাবন করেছেন মিডলইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র দারিয়া ইরসিভান।

প্রদর্শনীটি স্নাতক ডিজাইন প্রকল্পগুলোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সমাবেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রদর্শনীটির পরিচালক তাদেউ কারাভিয়েরি বলেন, ‘মানুষ এখন নিজেদের শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। নিজের দেশকে কীভাবে চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া যায়-সেই চিন্তায় মগ্ন মানুষ। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই প্রদর্শনীতে।’

ইতেহাদি জানান, মরুভূমিতে বীজ বপনের জন্য ডিজাইন করা তার সৌর-চালিত রোবটটি প্রায় ৮ ইঞ্চি লম্বা। এটি দিনে রিচার্জ এবং রাতে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ৩ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। বালি সরানোর ক্ষমতাও রয়েছে রোবোটটির।

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু চাই সবুজে সবুজে ভরে যাক আমাদের মরুময় অঞ্চলগুলো।’ এরই মধ্যে কিছু বিনিয়োগকারী তার এই যুগান্তকারী উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। দারিয়া ইরসিভান বলেন, ‘আমরা জানি পোশাকের মধ্যে প্রায়শই প্লাস্টিকের মাইক্রোফাইবার থাকে, যা ধোয়ার পর পানির সঙ্গে মিশে নদী ও সাগরে গিয়ে মেশে।