জাতীয়

মহিষ নিয়ে জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব গড়ালো হাইকোর্টে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বিদেশ যাওয়ার আগে নিজের গরু-মহিষগুলো শ্বশুরের কাছে দিয়ে যান জামাই। ১১ বছর পর বিদেশ থেকে এসে সেগুলো ফেরত চাইলে শ্বশুর তা দিতে অস্বীকার করেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত।   

উচ্চ আদালত দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সমঝোতার জন্য সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে পাঠান। সেই অনুসারে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দেয় ।

লিগ্যাল এইডে জামাইয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আক্তার রসুল মুরাদ ও মোসাদ্দেক বিল্লাহ। শ্বশুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলাউদ্দিন।
 
আইনজীবীরা জানান, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরনিয়ামত গ্রামে মো. আব্দুল ওদুদ সৌদি আরব যাওয়ার সময় ৫টি গরু ও ৮টি মহিষ তার শ্বশুর নুর মোহাম্মদের জিম্মায় রেখে যান। ১১ বছর পর ২০১৮ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এসে জানতে পারেন সব মিলিয়ে ১৩টি গরু-মহিষের সংখ্যা ২৭-এ দাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২০ টি মহিষ ও ৭টি গরু হয়েছে। অবশ্য তিনটি মহিষ পরবর্তীতে মারা যায়।

এই সবগুলো তার দাবি করে শ্বশুর কাছ থেকে ফেরত চান ওদুদ। কিন্তু শ্বশুর নুর মোহাম্মদ এগুলো ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) কাছে মামলা করেন ওদুদ। তদন্তের পর গরু-মহিষগুলো জামাইকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে শ্বশুর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন।

পরে আদালত স্থানীয় কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ বহাল রাখেন আদালত।

এরপর শ্বশুর ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে পাঠান।

জামাইয়ের পক্ষের আইনজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার জামাই-শ্বশুর এবং দুইপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি সমঝোতা করিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসার এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারাহ মামুন। উভয় পক্ষের সম্মতিতে ১৭টি মহিষের মধ্যে বড় পাঁচটি ও ছোট চারটি মহিষ জামাই নেবেন। আর বড় ছয়টি এবং ছোট দুটি শশুর নেবেন। আর গরু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেই সমঝোতা হয়ে গেছে।