জাতীয়

মাকে পাঁচ টুকরো করে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাকে পাঁচ টুকরা করে হত্যার ঘটনায় ছেলে হুমায়ুন কবিরসহ সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- হুমায়ুন কবির হুমু নিরব (২৬), কালাম (৩০), সুমন (৩৩), ইসমাইল (৩০), নুর ইসলাম (৩২) ও হামিদ (২৮)। তাদের মধ্যে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমু নিরব।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে সুবর্ণচরের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিলের ধান ক্ষেতে নূর জাহান নামের ওই নারীর মৃতদেহের একটি অংশ পাওয়া যায়। পরে নিহতের শরীরের আরও চারটি খণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন নূর জাহান। পরে রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে কোনো এক সময় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হুমায়ন কবির তার ছয় সহযোগীকে নিয়ে ঘরে ঢুকে নূর জাহানকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃতদেহ পাশের একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পাঁচ টুকরা করেন। পরে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ধান ক্ষেত ও একটি বিলের মধ্যে ফেলে দেন। এ বিষয়ে গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে চরজব্বার থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই মামলার বাদী হুমায়নকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন হয়েছে প্রমাণ মেলে। তখন তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘এ ঘটনায় আদালতে মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, সেহেতু সব আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা খুশি।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই মৃত্যুদণ্ডের রায়টি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।