Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
যুক্তরাজ্যের ২৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এক স্কুল শিক্ষিকা খুন হয়েছেন। সিএনএন ও বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ লন্ডনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষিকা খুন হন। এদিকে লন্ডন পুলিশ জানায়, শুক্রবার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের হাঁটা পথে একটি পার্কের ভেতর দিয়ে পানশালায় যাওয়ার সময় সাবিনা নেসা নামের ওই তরুণী খুন হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটেনে নারী এবং তরুণীদের প্রতি সহিংসতার যে মহামারি চলছে, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই তরুণী হত্যাকাণ্ড ঘিরে ব্রিটেনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের অনলাইনে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ব্রিটেনে বাংলাদেশি তরুণীর এই হত্যাকাণ্ডের খবর। সিএনএন বলেছে, ব্রিটেনে নারী এবং তরুণীদের প্রতি সহিংসতার যে মহামারি চলছে, তাতে এই হত্যাকাণ্ড হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ লন্ডনের বাসা থেকে বেরিয়ে যান সাবিনা নেসা। দেশটির গোয়েন্দাদের ধারণা, নেসা তার বাসা থেকে বেরিয়ে ক্যাটর পার্কের ভেতর দিয়ে পেগলার স্কয়ারের দিকে একটি পানশালার উদ্দেশে হাঁটছিলেন। ওই পানশালায় এক বন্ধুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের পরিকল্পনা ছিল।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্কের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। আগের দিন রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ পাশের একটি কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পাওয়া যায় গত শুক্রবার সকালে।
লন্ডনের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান পরিদর্শক জো গ্যারিটি বলেছেন, সাবিনার যাত্রা মাত্র পাঁচ মিনিটের মতো হবে। এই সময়ের মধ্যে কখনোই তার গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মুহূর্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে; যেমন আমরাও শোকাহত। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতকে খুঁজে বের করতে সম্ভাব্য সব উপায় অবলম্বন করছি।
সাবিনা আক্রান্ত হওয়ার সময় ওই পার্কে চলাচলকারীদের পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন গ্যারিটি। সাবিনা নেসার চাচাত ভাই জুবেল আহমেদ আইটিভি নিউজকে বলেছেন, পুরো পরিবার এখনও শোকে স্তব্ধ। তার মৃত্যুর খবর পরিবারকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই তরুণী দক্ষিণপূর্ব লন্ডনের লিউশামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখানকার সবচেয়ে নম্র ছিলেন তিনি। জুবেল বলেন, কীভাবে তাকে কেউ হত্যা করতে পারে; আমি বুঝতে পারছি না। এটা আমাদের পরিবারের জন্য বড়, বড় ধরনের ক্ষতি। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।