আন্তর্জাতিক

মুসলিম শাসকদের হাতে যাচ্ছে হ্যামট্রামক শহর


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেবল মুসলিম জনপ্রতিনিধিরা একটি শহর পরিচালনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। শহরটির নাম হ্যামট্রামক।এটি দেশটির মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি শহর।

গত শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই শহরের মেয়র থেকে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিই মুসলিম। আগামী বছরের শুরুতেই শহরের শাসনভার তুলে নেবেন তারা।

ইতিহাসে এইবারই প্রথম—  যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা কোনো শহর পরিচালনা করছেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিটি কাউন্সিলে খলিল রেফায়ি, আমানদা জাকুসকি ও আদম বারমাকিসহ মোট ছয়জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে গত দুই দশকে প্রথমবার একজন এশিয়ান বা মুসলিম হিসেবে গালিবের মেয়র পদে বিজয়ী হওয়াকে বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত আমির পেশায় একজন চিকিৎসক। আগামী ২ জানুয়ারি মেয়র আমির গালিবসহ হ্যামট্রামকের সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধি শহরটির দায়িত্ব নেবেন।

সিএনএন বলছে, ৯৯ বছর আগে হ্যামট্রামক সিটি কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর থেকে এতোদিন শহরটির মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালন করা সকলেই ছিলেন পোলিশ আমেরিকান। তবে আগামী ২ জানুয়ারি সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে যাচ্ছে। কারণ ওইদিনই আমির গালিবসহ পুরো সিটি কাউন্সিলের নতুন নির্বাচিত মুসলিম জনপ্রতিনিধিরা শপথ নেবেন।

দশকের পর দশক ধরে মিশিগানের ‘ছোট ওয়ারশ’ বলে পরিচিত হ্যমট্রামক শহরটি। এর আয়তন মাত্র দুই বর্গ মাইল এবং এর পুরোটাই বাড়ি-ঘর ও কল-কারখানায় ঠাসা। আরও ভালোভাবে বললে ডেট্রয়েট শহর থেকে থুতু ফেলার দূরত্বে অবস্থিত হ্যামট্রামক শহরটি।

ছোট্ট এই শহরে ৩০টিরও বেশি ভাষায় মানুষ কথা বলেন। যেন বিশ্বের সকল বৈচিত্র্যময়তা এখানে এসে একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। অথচ এ শহরে মাত্র ২৮ হাজার লোকের বসবাস। কাউন্সিল নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থীদের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শহরটি মার্কিন ইতিহাসের পাতায় অনন্য স্থান অধিকার করেছে।

বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের বৈষম্যের সম্মুখীন হয়ে সেখানকার মুসলিমরা এখন হ্যামট্রামক শহরের মূল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে মুসলিমদের মধ্যে এখন ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। শহরের বৈচিত্র্যময়তা ও বহু-সংস্কৃতিকে ধারণ করে তারা এ শহরের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এদিকে মুসলিম হলেও দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্র ও ধর্মকে আলাদা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র আমির গালিব এবং সিটি কাউন্সিলের সদস্যরা। তারা বলছেন, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের আইন এবং তাদের ইচ্ছাও মূলত সেটিই।