আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের কারখানায় পড়ে আছে কোটি কোটি টিকা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

গত প্রায় ৬ মাস যাবৎ ইমারজেন্ট বায়োসলিউশনের কারখানায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে জনসন অ্যান্ড জনসনের কয়েক কোটি করোনা টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর শহরের ওই কারখানায় পড়ে থাকা টিকাগুলোর মার্কিন টিকা নীতিনির্ধারকদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা এফডিএ বলছে, ওই কোম্পানির টিকা যথেষ্ট মানসম্পন্ন কি না-তা যাচাইয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি।

এই টিকাগুলোর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ইমারজেন্ট বায়োসলিউশিনস জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা এফডিএর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে।
ঠিক কী পরিমাণ টিকা কারখানাটিতে রয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইমার্জেন্ট সলিউশন। কোম্পানির দুই কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ প্রস্তুতকৃত টিকার ডোজের পাশাপাশি কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ ওষধি তরল রয়েছে, যা এখনও শিশিবন্দি (ভায়াল) করা হয়নি।

গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের একটি টিকার ব্যাচে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ওই ব্যাচটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ছিল ইমারেজেন্ট বায়োসলিউশন।

পরে জানা যায়, কোম্পানিটির প্রস্তুতকৃত জনসনের টিকার ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার উপদান পাওয়া গিয়েছিল। এই সমস্যার জেরে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে ইমারজেন্ট সলিউশন কোম্পানির প্রস্তুতকৃত সব টিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় এফডিএ।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি জনসন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা- দুটি টিকাই উৎপাদন করছিল তখন।
এফডিএর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের টিকাদান কর্মসূচি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ জনসনের টিকা। পাশপাশি টিকাদান কর্মসূচিও প্রায় কয়েক সপ্তাহের গতি হারায়।

ইমারজেন্ট সলিউশনের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে, সেক্ষেত্রে বছর শেষ হওয়ার আগে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তত ৫ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন।
এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে এফডিএর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে এফডিএ বলেছে, ‘কোম্পানির বাল্টিমোরের কারখানায় এই টিকাগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এফডিএ সেই কারখানা পরিদর্শন করেছে। কারখানাটির পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও টিকার প্রস্তুত প্রক্রিয়া যথেষ্ট মানসম্পন্ন নয়।’

‘কোম্পানিটি তাদের প্রস্তুতকৃত টিকার যেসব নমুনা পরীক্ষার জন্য এফডিএতে পাঠিয়েছিল, সেগুলোর পর্যালোচনা এখনও শেষ হয়নি। শেষ হলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’