আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে কারখানার ভুলে নষ্ট হলো দেড় কোটি ডোজ টিকা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জনসন এন্ড জনসনের কারখানার ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। করোনার টিকা উৎপাদনে গতিশীলতা আনতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া জনসন এন্ড জনসনের জন্য এটি বড় এক ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ টিকা। করোনা টিকা তৈরি বা ক্রয় ও মজুদে উন্নত দেশগুলো এগিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় রয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। তবে বিশ্বব্যাপী এই সংকটের মধ্যেও গত ১ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে এক কোটি ৫১ লাখ ডোজ টিকা ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, অতীতে করা ধারণা চেয়েও এই সংখ্যা অনেক বেশি বড়। এছাড়া নষ্ট হওয়া ও ফেলে দেওয়া বহু সংখ্যক ডোজ টিকা সম্ভবত এখনও গণনার বাইরে রয়ে গেছে। কারণ টিকা নষ্টের এই তথ্য ফার্মেসি, অঙ্গরাজ্যসহ বিভিন্ন তথ্যদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা। এরপরও কমপক্ষে সাতটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য এবং বড় বড় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো এই হিসেবের বাইরে রয়ে গেছে। অর্থাৎ নষ্ট হওয়া বা ফেলে দেওয়া টিকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।
টিকা নষ্ট হওয়ার কারণগুলোও বেশ ভিন্ন ভিন্ন। এর মধ্যে রয়েছে- টিকার শিশি ভেঙে যাওয়া, টিকা পাতলা করার ক্ষেত্রে ত্রুটি, হিমায়িত স্থানে টিকা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ত্রুটি, একটি শিশিতে থাকা ডেজের তুলনায় টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম থাকা এবং শিশি ব্যবহার শুরুর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, একটি কারখানার ভুলে জনসন এন্ড জনসনের টিকা নষ্ট হওয়ার পর এই কোম্পানির তৈরি অন্য টিকার মানেও ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) এ বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এএফডিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটি এ বিষয়ে অবগত বলে এএফপিকে জানানো হয়। তবে টিকা নষ্টের বিষয়ে এর বেশি আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।

জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে প্রযোজনীয় তত্ত্বাবধান, দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সার্বিক সহায়তা দিতে সাইটগুলোতে আরও বেশিসংখ্যক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে তারা। এর ফলে এপ্রিল মাসে আরও ২ কোটি ৪০ লাখ টিকা সরবরাহ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। জনসন এন্ড জনসন বলছে, ‘২০২১ সালের শেষ নাগাদ আমরা ১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করতে পারব।’

এএফপি জানিয়েছে, জনসন এন্ড জনসনের করোনা টিকা উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বাল্টিমোরের ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশনের কারখানাটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়নি। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অনুমোদন না থাকলেও কারখানাটিতে নিকট ভবিষ্যতে কোটি কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের একটি ডোজই যথেষ্ট। মডার্না ও ফাইজারের টিকার মতো এটি ঠান্ডা বা হিমায়িত স্থানে সংরক্ষণেরও প্রয়োজন পড়ে না।