Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
জীবনে অগ্রগতির জন্য স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ছেলেবেলা থেকে মস্তিষ্কের চর্চা করা প্রয়োজন। স্মৃতিশক্তি ভালো হলে নতুন কিছু শিখতে, মনে রাখতে খুব সহজ হয় এবং শিশুরা স্কুলেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে।
শুধু পড়াশোনা নয় জীবনে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়েও সাহায্য করে তুখোড় স্মৃতিশক্তি। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. শিশুকে প্রশ্ন করতে শেখান। শিশুর মধ্যে যাতে কোনো কিছু জানার আগ্রহ থাকে এবং ভালোভাবে জানার জন্য প্রশ্ন করে, সেদিকে নজর রাখুন। শিশু যত প্রশ্ন করবে ততই বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে শিখবে। এতে শিশুর স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
২. শিশুকে গান, ছড়া করতে শেখান। মানুষের মস্তিষ্ক মিউজিক এবং প্যাটার্ন মনে রাখতে পারে দ্রুত। তাই শিশুকে মিউজিক বা ছড়া শেখালে সে তাড়াতাড়ি সবকিছু মনে করতে পারবে।
৩. শিশুকে লাইব্রেরি, মিউজিয়ামে নিয়ে যান। তাকে এক জায়গায় বসিয়ে পড়াবেন না, বরং ঘুরতে ঘুরতে শেখান। লাইব্রেরিতে নিয়ে গিয়ে বই দেখাতে পারেন। মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারিতেও নিয়ে যান। শিশু যেটা পড়ছে সেটায় আগ্রহ তৈরি হওয়া জরুরি, আগ্রহ নিয়ে পড়লে তবেই তার সবকিছু মনে থাকবে।
৪. শিশুর সঙ্গে আলোচনা করুন বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে। তারা কি ভাবছে জানতে চান। এভাবে তাদের চিন্তাধারার যেমন উন্নতি হবে তেমন স্মৃতিশক্তিও বাড়বে।
৫. শিশুকে কিছু শেখানোর সময় ছবি ব্যবহার করুন। তাহলে শিশুর মনে রাখতে সুবিধা হবে।
৬. শরীরচর্চা করলে শরীর ও মন দুই-ই থাকে। সেই সঙ্গে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। শিশুদের প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে খুব ভালো হয়।
৭. শিশুকে কী খাওয়াচ্ছেন তার ওপর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নির্ভর করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে শিশুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ভিটামিন সমৃদ্ধ টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়ান।
৮. শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখুন। কারণ পানিশূন্যতা হলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
৯. বিভিন্ন গ্যাজেটের অত্যধিক ব্যবহার শিশুর মস্তিষ্কের কাঠামো পরিবর্তন করতে পারে। এটি শিশুদের দীর্ঘ সময়ের জন্য তথ্য ধরে রাখার ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই আপনার সন্তানের গ্যাজেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ করুন। এর পরিবর্তে তাদের বই পড়া এবং অন্যান্য কাজে উৎসাহিত করুন।
১০. শিশুকে পড়ানোর সময় রঙের ব্যবহার করুন। রঙ ব্যবহার করে শিশুকে পড়ালে তার মস্তিষ্কে তথ্য দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিভিন্ন রঙ দিয়ে বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইন বা প্যারাগুলি হাইলাইট করুন। নোট ব্যবহার করতে পারেন। পাঠ্যপুস্তকে নোট রেখে দিন, এতে শিশু দ্রুত মনে রাখতে পারবে।
১১. শিশুকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করার সময় তাকে ব্যক্তিগত উদাহরণ দিন। এতে তার স্মৃতিশক্তি মজবুত হবে। পরবর্তী সময়ে ওই বিষয়টি তাড়াতাড়ি মনে পড়বে।