Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
এবার এক কোটি ৩৬ লাখ টাকার একটি সড়কে পিচ দেওয়ার ১০ দিনের মাথায় কার্পেটিং ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েক যুবক ফাটল ধরা কার্পেটিং খুঁচিয়ে তুলেছেন। সড়কটি পাকাকরণের কাজে নিম্নমানের পিচ ও খোয়া ব্যবহার করায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কয়েকজন যুবক সড়কের শফিয়ারের রাইচ মিলের সামনে কিছু অংশের কার্পেটিং তুলে ফেলেন।
তবে ঠিকাদার বলছেন, সঠিকভাবে কাজ শেষে রাস্তার ভিডিও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরআগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর মান্দারতলা থেকে লক্ষ্মণপুর পর্যন্ত সড়কটির পিচের কাজ চলমান অবস্থায় কার্পেটিং তুলে ফেলেছিলেন স্থানীয়রা।
জানাযায়, উপজেলার চিনাটোলা বাজার থেকে বালিয়াডাঙা খানপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত সড়কটির অজয়ের মিল হতে কালিগঞ্জ মোড় পর্যন্ত দুই কিলো ৩০০ মিটার রাস্তার পাকাকরণের কাজ শেষ হয় ১০ দিন আগে।
অভিযোগ করা হচ্ছে, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার, কার্পেটিং এর আগে পর্যাপ্ত প্রাইমকোর্ট (কালো তেল) ব্যবহার না করায় এবং পরিমানে কম পিচ দেওয়ায় সড়কটির কার্পেটিং ফেটে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ গোলাম বলেন, আমি বিষয়টি পরে শুনিছি। খোঁজ নিয়ে জানলাম, রাস্তা ফেটে যাওয়ায় কয়েকজন এসে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। যারা তুলেছে তারা এলাকার কেউ না। ওই সড়কটির কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নেয়ামত হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে মণিরামপুরে চলমান রাস্তাগুলোর কাজে অনিয়ম হচ্ছে বেশি। সম্প্রতি এলাকাবাসী যে সড়কটির কার্পেটিং তুলে ফেলেছিলেন সেই রাস্তাও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এই উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
এছাড়া মণিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কটির চলমান কাজও দেখছেন তিনি। সেখানেও মানহীন ইটের খোয়ায় কাজ হয়েছে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। ঠিকাদারদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নেয়ামত হোসেন ঠিকমত রাস্তার কাজ দেখভাল করেননা বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি উপ-সহকারী প্রকৌশলী নেয়ামত হোসেন। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
রাস্তার ঠিকাদার শাহিনুর কবীর শাহিন বলেন, ১০ দিন আগে কার্পেটিং-এর কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার ভিডিও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার রেজাল্টও হাতে পেয়েছি। সঠিক নিয়মে কাজ হয়েছে। যারা কার্পেটিং তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল হক বলেন, কাজের মান নিয়ে অভিযোগ থাকলে ক্ষুব্ধ লোকজন আমাকে জানাতে পারতেন। তারা কার্পেটিং তুলে ঠিক করেননি।