প্রধান পাতা

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান এর ৬৫তম জন্মবার্ষিকী বৃহষ্পতিবার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বোয়ালখালীর বীরোচিত বিপ্লবী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান এর ৬৫তম জন্মবার্ষিকী বৃহষ্পতিবার। ১৯৫৬ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদনডী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন অকুতোভয় বীরোচিত আত্মত্যাগী এখলাছ। পারিবারিকভাবে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিতায় এই অকুতোভয় বীরের জান্মবার্ষিকী পালন করা হবে বলে জানান গেছে ।

তাঁহার পিতা মরহুম সৈয়দ জামাল উদ্দীন মাতা মরহুমা সৈয়দা মছুদা খাতুন। ১৯৭১ সালে তিনি উপজেলার কধুরখীলের খোকার দোকান এলাকায় পাকবাহিনীর ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলেন। ওইদিন পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সালের ৪ আগস্ট পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। (তথ্য সূত্র দৈনিক পাকিস্তান, পূর্বদেশ,ইওেফাক ১৯৭১)। স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ক্যাপ্টেন করিমের গড়া বাহিনী ও ৬৯এর ছাত্র মিছিলে অগ্রনীভূমিকা পালন করেছিলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। উল্লেখ্য তৎকালীন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী গ্রুপের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন শিক্ষাবিদ রফিক আহমদ শহীদ এখলাছের ভগ্নিপতি। সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্মমতা ও এদেশীয় সহযোগীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রেনেড ছুড়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এ গেরিলা যোদ্ধা।

দেশ স্বাধীনের পর তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাপীঠ কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনকে নামকরণ করা হয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ মিলনায়তন। ইকবাল পার্কের নাম পরিবর্তন এনে করা হয়েছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ পার্ক। এছাড়া একটি সড়কের নামকরণ করা হয় এই মহান বীর শহীদের নামে। তবে লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকলেও শহীদ গেজেটে এখনো আসেনি এই বীরের নাম।

২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের সনদ সংশোধনের জন্য গত ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়। ওই পত্রের আলোকে সমাজসেবা কার্যালয়ের ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি এক সভায় সাময়িক সনদপত্রে নাম সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৭ মার্চ অগ্রবর্তী করলে ওই বছরের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। এছাড়া অনলাইনে গেজেটভূক্তির আবেদন এবং সম্মানীভাতা মঞ্জুরীর আবেদনও করা হয়েছে পরিবার পক্ষ থেকে। এর আগেও ২০১০ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের নাম গেজেটভূক্তি ও সনদের নাম সংশোধনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয় বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল। তবে কার্যকরী পদক্ষেপ ও বারবার আবেদন করেও কোনো সদুত্তর পাইনি। সম্পতিকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সুপারিশ সহকারে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় বরাবর আরো একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের নাম গেজেটভুক্তি ও সনদ সংশোধনের জন্য যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের ও স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এছাড়াও ১৯৯৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কতৃক সনাক্ত করা হয়েছিল মুক্তি / কবর/ বো-১১৮ তবে আজো দৃশ্যমান হয়নি, ইতিহাসের বৃহৎ অংশ এ মহান বীর শহীদের নাম রয়েছে কাজেই দেশমাতৃকার অতুলনীয় আত্মত্যাগের জন্য লাল সবুজের পতাকা জুড়ে ও স্মৃতির দর্পনে চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।