জাতীয়

শিক্ষক-ছাত্রীর আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ, তুলকালাম কাণ্ড


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নাটোরে ৬৫ বছর বয়সী এক প্রাইভেট শিক্ষকের সঙ্গে ১০ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে বিপাকে পড়েছেন এক কলেজছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে কলেজছাত্র ও সংশ্লিষ্ট স্কুলছাত্রী নিজ এলাকা থেকে অন্যত্র অবস্থান নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

অভিযুক্ত শাজাহান হোসেন (৬৫) জেলার বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুরের একটি বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি দয়ারামপুর মিস্ত্রিপাড়ায় কামাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতেন।

জানা যায়, ধুপইল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন শাজাহান হোসেন। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর ওপর কুনজর পড়ে শাজাহানের। পরবর্তী সময় নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন তিনি। এরমধ্যে একদিন ওই ছাত্রীকে তার বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়তে বলেন শিক্ষক শাজাহান।

ঘটনার দিন সকাল ৭টায় ওই ছাত্রী তার বাসায় এলে তাকে নির্জন কক্ষে নিয়ে যান শাজাহান। এরপর নানা প্রলোভনসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন তিনি। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিকের ছেলে (কলেজছাত্র) ওই অনৈতিক কার্যকলাপের ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি শিক্ষক শাজাহান জানতে পেরে ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য ওই কলেজছাত্রের হাতে-পায়ে ধরেন। পরবর্তীকালে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে কলেজছাত্র ও ওই স্কুলছাত্রী নিজ এলাকা ত্যাগ করে বড়াইগ্রামের কুমরুল গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

এদিকে ভিডিওটি উদ্ধার করে মুছে ফেলার জন্য শিক্ষক শাজাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবক সবুজ, হালিম ও ডালিমকে দায়িত্ব দেন। এরপর ওই তিন যুবকসহ ৯ যুবক চারটি মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকা তল্লাশি করে শাকিব ও ওই স্কুলছাত্রীকে খুঁজে পায়। তবে কুমরুল গ্রামের লোকজনের সহায়তায় তারা ভিডিওটি উদ্ধার করতে পারেনি।

বিষয়টি জানাজানি হলে, ওই গ্রামে জড়ো হয় স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য, সাংবাদিক ও থানা পুলিশের সদস্য। ওইদিন রাতে ওই ছাত্রীর মাকে ডেকে আনা হয় এবং তার কাছে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়। অপরদিকে, ভিডিও ধারণকারী ওই কলেজছাত্রকে নিজ বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় বাগাতিপাড়া থানায় হাজির হয়ে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’