জাতীয়

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলকে ডিআরইউতে অবাঞ্চিত ঘোষণা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সাংবাদিকদের বিষোদগার করা ও রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকের একটি খণ্ডিত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সাংবাদিকদের এ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।

সমাবেশে তিনি বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওপর বিষোদগার করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কোন প্রোগ্রামে আসতে পারবেন না, তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি করা হলে, ডিআরইউ তাদেরকে হল ভাড়া দিবে না।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। ওই ভিডিওর শিরোনামে লেখা ছিল, ‘ফাইল চুরির দায় স্বীকার প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার’।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার পর শিক্ষা উপমন্ত্রীর এমন খণ্ডিত ভিডিও প্রচারের সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ না করে, ন্যুনতম সাক্ষাৎকার চেয়ে, তথ্য না চেয়ে, বেআইনিভাবে সরকারি নথিপত্রের ছবি তুলে সংবাদ সৃষ্টি করা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নয়, পরিকল্পিতভাবে চমক সৃষ্টি করা। বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, সবই গৌন হয়ে যায় যখন বড়সড় মিডিয়া হাউসের নাম সামনে আসে। অন্ধের মতো অনেকে মনে করে উনারা যাই বলবেন, তাই সত্য।

বাস্তবতা হচ্ছে বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের কর্ম অপকর্মের সংবাদ এঁরা অনেকেই ছাপান না বা দেখান না। এটি আসলে এক প্রকার অলিখিত সমঝোতা। সত্যিকারের জনস্বার্থ চাইলে, প্রভাবশালী কর্পোরেট স্বার্থকে কেনো ছাড় দেয়া হয়? আমরা চাই সরকার প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দূর্নীতি, যেমনি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে, তেমনি গণমাধ্যমের মালিক পক্ষ কর্পোরেট গ্রুপ সমূহ, কর্তব্যরত সাংবাদিক ভাই বোন, এঁদেরও সবার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এঁরাও সর্বসাধারনের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কিভাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন। আমরা জানি দূর্নীতি বাংলাদেশে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জে গণমাধ্যমের একটি টেকসই ভূমিকা দরকার, শুধুই সেন্সেশন দিয়ে টেকশই ভুমিকা তৈরি হবেনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে নিয়ে বা বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে দেশের অনেকের অভিযোগ থাকতে পারে। আবার পাশাপাশি দেশের অনেক বৃহৎ বেসরকারি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন অনেক গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও জনগণের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা তা প্রকাশিত হতে দেখি খুবই কম। আসলে পক্ষ বিপক্ষ নয়, পরিষ্কার হোক মূল ঘটনা।