খেলা

শ্রীলংকাকে দিয়ে স্বপ্নযাত্রা শুরু আজ টাইগারদের


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সকালে ফজরের নামাজের পর একটু হাঁটাহাঁটির অভ্যাস আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। গতকালও সেটাই হয়েছে। নামাজ আদায় করে নেমে যান হোটেলের সুন্দর ফুলের বাগানে। গত কয়েকদিনে যে আলোচনা-সমালোচনা এসব কিছুক্ষণের জন্য ভুলেও যান। কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার ফেরেন রুমের দিকে। হালকা এক্সারসাইজ দরকার। বিশাল রাউন্ড সিঁড়ি ওপরে ওঠার। লিফট এড়িয়ে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে মাহমুদউল্লাহ! এমন একটা সিঁড়িতে আজ মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উপরে ওঠার পালা। বাছাইয়ের চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনার তীর বিদ্ধ আছে পিঠে। সেই ভেতরে জ্বলতে থাকা আগুন উগরে দিক প্রতিপক্ষের ওপর এটাই চাওয়া।

এই সিঁড়িতে চড়ার সুযোগ ১২টি দলের। কিন্তু শেষ চার বা সেমিফাইনালে যাবে মাত্র ৪টি দল। বাকি ৮টি দল ছিটকে পড়বে। এমন গ্ল্যাডিটোরিয়াল কনটেস্টে বাংলাদেশ ৫ রাউন্ড পাবে (৫ প্রতিপক্ষ)। প্রথমেই সামনে এসেছে শ্রীলংকা। তারুণ্য তো রয়েছেই। শ্রীলংকান দলটির পেছনে কাজ করছেন কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে।

যিনি ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন শ্রীলংকার হয়ে। সেই তিনি এবার দুরন্ত পরিকল্পনা করছেন একেবারে তারকাবিহীন একটি দল নিয়ে। লাসিথ মালিঙ্গাও নেই। সে ইয়র্কার দিয়ে স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলবেন। কিন্তু ভয়ের কারণ ওই জয়াবর্ধনে। কারণ তিনি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট সফল কোচও। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে সফলতাও পেয়েছেন। শ্রীলংকা একটি দল হিসেবে খেলবে আজ।

স্কটল্যান্ডের কাছে ওমানের মাসকটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশ দলকে শুরু হয় সমালোচনা। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো ট্রল ছিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক রিয়াদের এটা ভালো লাগেনি। আর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জেতার পরও চোয়াল শক্ত করে রেখেছিলেন। আজও এই রূপেই দেখা যাবে টাইগারদের। বার্তা পরিষ্কার, ‘আমাদের যে সামর্থ্য সে মোতাবেক খেলব।’

বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। আর মোস্তাফিজ পূর্ণ ছন্দে ফিরলেন আজ শারজায় বাংলাদেশই ফেবারিট। কারণ এই দুজনের ৮ ওভার শ্রীলংকার পরীক্ষিত নয় এমন ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলবে। কিছুদিন আগেই আইপিএল শেষ হয়েছে। শারজা, দুবাই ও আবুধাবি সাকিব আর মোস্তাফিজের হাতের উল্টো পিঠের মতোই চেনা।

পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে শ্রীলংকা ৭টি ও বাংলাদেশ ৪টিতে জিতেছে। আর সর্বশেষ দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের জয় (কলম্বো)। সর্বশেষ ৫ ম্যাচের ৩টিতে জয় বাংলাদেশের। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশ একবার মুখোমুখি হয়েছে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের দেখা হয়নি। ওই ম্যাচে শ্রীলংকা ৬৪ রানে জিতেছিল জোহানেসবার্গে।

বাংলাদেশ দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশ কম। কারণ বাছাই ম্যাচে টানা ২টি ম্যাচ ভালো খেলেছে তারা। তবে চিন্তার নাম সেই ওপেনিং। বাংলাদেশ মসৃন শুরু পাচ্ছে না। তবে মিডলঅর্ডার ভালোই করছে। সাকিব ভালো করেছেন। আর ব্যাটিং অর্ডারে কোনো ওঠানামার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেটা কি হতে পারে? চমক থাকবে ম্যাচ পর্যন্ত। লিটন ও নাইম শেখ ওপেনিংয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি। সৌম্যর ব্যাপারে আশা করা যাচ্ছে কম। আর মাহেদী না বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। এটা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। যা-ই হোক না কেন। নিদাহাস ট্রফির পর শ্রীলংকার সমর্থকদের সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক এখন বাংলাদেশিদের। সেই নাগিন নৃত্য এখনো ভোলেনি তারা। আজও সেই ফ্লেভার শারজার বুকে দেখা যেতে পারে। আর না হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো চলবেই। বাংলাদেশ আজ পরিষ্কার ফেবারিট এই ম্যাচে। এখন ময়দানি লড়াইয়ে বোঝা যাবে কার কতটা দম আছে।