Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
বিতর্কিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) বিকেলে করা এই জিডির নাম্বার ৭০৩।
নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির অনলাইন বিনোদন প্রতিবেদক আল কাছিরকে অপহরণের হুমকি দিয়েছেন তিনি এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, দেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় নিজের ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়েছে নোবেল। সম্প্রতি নগরবাউল জেমস, জনপ্রিয় সুরকার ইথুন বাবু এবং সংগীতশিল্পী তাপসকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সবশেষ নোবেল তার ফেসবুকে নিজের মৃত্যু তারিখ ঘোষণা করে স্ট্যাটাস দেয়। পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে সময় টিভির প্রতিবেদক আল কাছির বিষয়টি নিয়ে নোবেলের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন।
রোববার (১৬ মে) দিনগত রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে নোবেলের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন করেন তিনি। পরিচয় পাওয়ার পর নোবেল অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ফোন কেটে দেন। তারপর ১২টা ৪৮ মিনিটে নোবেল নিজেই ওই প্রতিবেদককে ফোন করে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাকে জেলে নেওয়ার হুমকি দেন।
জানা যায়, নোবেলের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড পুলিশকে সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নোবেল সাংবাদিক আল কাছিরকে ১৬ মে রাতে মুঠোফোনে হুমকি দেন। এ সময় তিনি অশ্রাব্য ভাষায় আল কাছিরকে গালিগালাজ করেন। নোবেলের এমন আগ্রাসী আচরণের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি। কাছির সংগঠনটির সদস্য।
এদিকে জিডির খবর প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সব সাংবাদিকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আবারও স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোবেল।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাত থেকে শুক্রবার (১৪ মে) পর্যন্ত নোবেলের ভেরিফায়েড পেজে রকস্টার জেমস ও সংগীতাঙ্গনকে নিয়ে কটূক্তি করে এবং বেশ কিছু অশ্লীল পোস্ট দেওয়া হয়। যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে। পরে নোবেল দাবি করেন তার পেজ ‘হ্যাক’ হয়েছে এবং তা ‘পুনরুদ্ধার’করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। হ্যাকার নয়, বরং নোবেল ‘নিজেই’ এসব স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে দাবি অনেকের।