জাতীয়

১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন রাগীব


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি রাগীব আহসান ও তার তিন ভাই। সাত দিনের রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে বুধবার গ্রাহকদের কাছ থেকে ১৫০ কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জ.মো. মাসুদুজ্জামান মিলু।

জানা গেছে, রাগীব আহসান ও তার তিন ভাই রিমান্ডে ১৫০ কোটি টাকা গ্রাহকদের থেকে নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও গ্রাহকরা এটি সামান্যবলে মনে করছেন। বেশিরভাগ গ্রাহক জানান, এহসান গ্রুপের সঙ্গে পিরোজপুরেরই আরও অনেক রাঘববোয়ালরা জড়িত আছেন। এসব প্রভাবশালীর কাছেই রাগীব আহসান লুকিয়ে রেখেছেন গ্রাহকদের কয়েক হাজার কোটি টাকা।

এদিকে গ্রাহকদের পাওনা টাকার চাপে এহসান গ্রুপের অনেকজন ফিল্ড অফিসার বাড়ি ও এলাকাছাড়া হয়েছেন। এমনই একজন এফও সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক এলাকার ফিল্ড অফিসার আবুল খায়ের আকন। তিনি গ্রাহকদের ৯৬ কোটি টাকা নিয়ে এহসান গ্রুপে রেখেছিলেন। এ টাকা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিতে না পেরে আবুল খায়ের আকন এখন এলাকাছাড়া। তিনি পাশর্^বর্তী নেছারাবাদ উপজেলায় এক স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া একই এলাকার আঞ্জিলা বেগম নিজের ও বোনের জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাওনা টাকা ফেরত পেতে ঘুরছেন আরও কয়েক হাজার গ্রাহক।

ওসি মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি বাসা থেকে র‌্যাব দুজনকে এবং পিরোজপুর থেকে ডিবি পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ সদর থানায় আরও দুটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিরা হলেন এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান, তার তিন ভাই মাওলানা আবুল বাশার, মো. খাইরুল ইসলাম ও মুফতি মাহমুদুল হাসান। এ নিয়ে মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত আসামিরা ১৫০ কোটি টাকা গ্রাহকদের থেকে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাবে।