জাতীয়

১৮ বছরে ভোট দিতে পারলে বিয়ে করতে পারবে না কেন?


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাস হওয়ায় এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন দেশটির একাধিক নেতা।

এদের মধ্যে মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বয়স বাড়ানো তো দূরের কথা, উল্টো ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত। একজন ১৮ বছর বয়সি মেয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন, তা হলে জীবনসঙ্গীও নির্বাচন করতে পারবেন।

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে একজন মেয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, ব্যবসা শুরু করতে পারে, সংসদ সদস্য হতে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পদে নির্বাচন করতে পারে। তা হলে জীবনসঙ্গী নয় কেন? আমি মনে করি যে, ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত।’

পাস হওয়া প্রস্তাবনাকে বিজেপি সরকারের ‘পিতৃত্ববাদের একটি খুব ভালো উদাহরণ’ বলে কটাক্ষ করেন ভারতের এই মুসলিম সংসদ সদস্য।

এদিকে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা।

এ বিষয়ে সৈয়দ তোফায়েল হাসান নামের এক নেতা যুক্তি দেখান, ‘১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। নারীর বয়স বেশি হলে দুই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত বন্ধ্যত্বের আশংকা। দ্বিতীয়ত সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া, যা প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ।’

প্রসঙ্গত, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স কত হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে গত বছরের জুনে ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। গত বছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেছিলেন—‘মা ও বোনদের স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। মেয়েদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে হলে তাদের সঠিক বয়সে বিয়ে করা প্রয়োজন।’