চট্টগ্রাম

২০ বছর পালিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডের আসামি গ্রেফতার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কখনও উদ্বাস্তু, কখনও বাবুর্চি, কখনো বা নিরাপত্তাকর্মী আবার কখনো ট্রাকচালকের ছদ্মবেশে প্রায় ২০ বছর পালিয়ে ছিলেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন (৫০)। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নগরের বন্দর থানার নিমতলা বিশ্ব রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি লোহাগাড়ার আমিরাবাদে।

ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার সাক্ষী দিতে গিয়ে ২০০২ সালের মার্চে লোহাগাড়ায় আদালত চত্বরে খুন হন ব্যবসায়ী জানে আলম। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জসিম উদ্দিন।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাহমুদুল হক নামে একজন খুন হন। এ ঘটনায় মামলার সাক্ষী দিতে যাওয়ায় ২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে লোহাগাড়ায় আদালত চত্বরে মাহমুদুলের বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে তজবিরুল আলম লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আটজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেওয়া হয়।

নুরুল আবছার বলেন, ‘হত্যার ঘটনার পর আসামি জসিম ছদ্মবেশে ট্রাক চালাতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরের নিমতলা ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুটি খুনের সঙ্গেই জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জসিম। মূলত ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলা চালানোর কারণেই বড় ভাই জানে আলমকে হত্যা করা হয়। তা ছাড়া জানে আলম ছোট ভাই খুনের প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলেন। এছাড়াও জসিম ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে ট্রাকচালকের লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জসিমকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।  

এর আগে ২৭ জানুয়ারি রাতে জানে আলম হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আরেক আসামি সৈয়দ আহমেদকে আটক করেছিল র‍্যাব।