জাতীয়

সিভাসুর গবেষণা: করোনা টিকা নিয়ে আক্রান্ত হলেও ঝুঁকিকম


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

টিকা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হওয়া ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। আবার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও মারাত্মক কোনো ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়নি।

ট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত ২০০ জনের ওপর করা গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।  

সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে এ গবেষণা করা হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো এ গবেষণায় গবেষক দলে আরও ছিলেন অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. সিরাজুল ইসলাম এবং ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।

গবেষণায় দেখা যায়, সিভাসু করোনা ল্যাবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০০ জন ছিলেন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারী। তাদের মধ্যে ১৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়নি। যা ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ। মাত্র ৩৫ জন রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। যা ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে তাদের মধ্যে কোনো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়নি।

গবেষণা আরও দেখা যায়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলেও করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৭৭ জনের শ্বাসকষ্টের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। যা ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ১৮৪ জন রোগীর জন্য অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহেরও প্রয়োজন হয়নি। এই হার ৯২ শতাংশ। তবে বয়স বিবেচনায় বার্ধক্যজনিত কারণ ও বিভিন্ন কো-মরবিডিটি থাকার কারণে মাত্র ৮ শতাংশ রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন হয় বলে গবেষণায় উঠে আসে।  

এছাড়া ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে যাদের শ্বাসকষ্ট ছিল, তা গড়ে পাঁচ দিনের বেশি পরিলক্ষিত হয়নি। তাদের সর্বনিম্ন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৯০ শতাংশ। তবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৮৫ শতাংশ বা তার কম। যা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গবেষণা দলের সদস্য অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী বলেন, গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর রোগীদের মধ্যে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাও পর্যালোচনা করা হবে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা পর্যালোচনা করা। এতে দেখা যায় টিকা নেওয়ার পর আক্রান্ত হলেও ৮২ শতাংশ রোগীদের তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।