জাতীয়

জন্মনিবন্ধন পেতে ভোগান্তি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিক ডাটাবেস তৈরির জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই মানুষ প্রতিদিন ধরনা দিচ্ছেন কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। কিন্তু দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ, সার্ভার ডাউনসহ প্রযুক্তির বিড়ম্বনায় দিনের পর দিন গিয়েও পাচ্ছেন না জন্মনিবন্ধন সনদপত্র। সনদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। ম্যানুয়াল জন্মসনদ আপডেট না করা এবং সার্ভার সমস্যার কারণে এই ভোগান্তি।
স্কুল-কলেজগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সনদপত্রসহ মা-বাবার নানা তথ্য জমা দিতে বলায় লাখো ছাত্রছাত্রী সংকটে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্মনিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করার আগে পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করতে হচ্ছে। একজন ছাত্রছাত্রীর জন্য তিনটি জন্মনিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করতে গিয়ে ইউনিয়ন বা কাউন্সিলর অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। একটি মাত্র কম্পিউটার এবং একজন অপারেটরকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের চাপ সামলাতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকার ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ইউনিট ডাটাবেস তৈরি করছে। প্রতি ছাত্রছাত্রীর জন্মনিবন্ধন সনদপত্র, পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন তথ্য উক্ত ডাটাবেসে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি স্কুল-কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ডাটাবেসের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর জন্য ফরম পাঠানো হয়েছে। স্কুল-কলেজ থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সংকট তৈরি করেছে জন্মনিবন্ধন সনদ। ডাটাবেসের জন্য শুরুতেই ছাত্রছাত্রীর অনলাইনে জন্মনিবন্ধন নম্বর এবং সনদপত্র চাওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্র। অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদপত্র যোগাড় করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সরকার ২০১০ সাল থেকে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে সনদপত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অনলাইনে নিবন্ধন শুরু করার আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কয়েক কোটি নাগরিককে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছিল। ওসব সনদ এখন আর গ্রহণ করা হচ্ছে না। ম্যানুয়ালি দেওয়া সনদপত্রগুলো আপডেট না করায় নতুন করে দেশের সব নাগরিককেই অনলাইন জন্মনিবন্ধন করতে হচ্ছে। এই জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সংকট তৈরি করেছে সার্ভার। সার্ভার সমস্যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও জন্মনিবন্ধন রেকর্ড করা সম্ভব হচ্ছে না।
ছাত্রছাত্রীদের জন্মনিবন্ধন সনদপত্র স্কুলে জমা দেওয়ার নতুন নিয়মের ফলে ইউপি চেয়ারম্যান এবং শহরের প্রতিটি কাউন্সিলর অফিসে লম্বা লাইন। সার্ভার ডাউন থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না মানুষ। অপরদিকে কয়েক লাখ মানুষের একেকটি ইউনিয়নে কিংবা ওয়ার্ডে একটি মাত্র কম্পিউটার রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের একজন অপারেটরকে ডাটা যাচাই করে তা রেকর্ড করতে হচ্ছে। এতে করে সার্ভার ঠিক থাকলেও একেকটি জন্মনিবন্ধন রেকর্ড করতে ত্রিশ মিনিট সময় লাগে। একজন অপারেটর সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ত্রিশ-চল্লিশটির বেশি রেকর্ড করতে পারেন না। অথচ প্রতিটি ইউপি ও কাউন্সিলর অফিসে শত শত মানুষ সকাল থেকে লাইন ধরে থাকেন।
২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকে ঝামেলায় পড়েছেন। এসব ক্ষেত্রে প্রথমে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন করিয়ে পরে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে। অর্থাৎ একজনের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে তিনজনের জন্মনিবন্ধন করাতে হচ্ছে।
বর্তমানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সকল ছাত্রছাত্রীর জন্ম ২০০১ সালের পরে হয়েছে। এতে করে এদের প্রত্যেকের জন্মনিবন্ধন করার আগে পিতামাতা দুজনের জন্মনিবন্ধন করতে হচ্ছে। পিতামাতার জন্মনিবন্ধন নম্বরটি সন্তানের জন্মনিবন্ধন ফরমে দেওয়ার পরই তা রেকর্ড করা সম্ভব হচ্ছে।
অনলাইন জন্মনিবন্ধনের নতুন নিয়মে শূন্য থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্মনিবন্ধনের জন্য টিকার কার্ড, পিতা-মাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র, বাসার হোল্ডিং নম্বর ও চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদের হাল সনদ, আবেদনকারী/অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, ফরমের সঙ্গে এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগে। ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্মনিবন্ধন নিতে টিকার কার্ড/স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সিলসহ প্যাডে হতে হবে), পিতামাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র, বাসার হোল্ডিং নম্বর ও চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদের হাল সনদ, আবেদনকারী/অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, ফরমের সঙ্গে এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বয়স ৫ বছরের বেশি হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র না থাকলে সরকারি হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষর ও সিলসহ প্রত্যয়ন সনদ এবং জন্মনিবন্ধন আবেদন ফরমের ৭-এর ১ নং কলামের স্বাক্ষর ও সিল বাধ্যতামূলক। যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পর তাদের ক্ষেত্রে পিতামাতার অনলাইন জন্মনিবন্ধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক, যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির আগে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক, যদি জন্ম ২০০১ সালের আগে হয় সেক্ষেত্রে পিতা-মাতা মৃত হলে মৃত্যুসনদ বাধ্যতামূলক। যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পর তাদের পিতা-মাতা মৃত হলে প্রথমে অনলাইন জন্মনিবন্ধন গ্রহণ করার পর অনলাইন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে হবে। উভয় সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। বাসার হোল্ডিং নম্বর ও চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদের হাল সনদ, আবেদনকারী/অভিভাবকের মোবাইল নম্বর এবং ফরমের সঙ্গে এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আবেদনের সঙ্গে কাগজপত্র সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/নারী সদস্যদের স্বাক্ষরসহ সিল বাধ্যতামূলক। একজন মাত্র অপারেটরকেই এত সব কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ডাটা রেকর্ড করতে হচ্ছে, যা একজন মানুষের পক্ষে কঠিন। এর ফলে কাগজপত্র যোগাড় করেও নিজের কিংবা সন্তানের জন্মনিবন্ধন পেতে দেরি হচ্ছে।
যেসব ছাত্রছাত্রীর মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই বা ভুল রয়েছে তাদের ভোগান্তি আরো বেশি। তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন অফিসে। নির্বাচন কমিশনে নতুন এনআইডি করা কিংবা সংশোধন করার আগে করতে হচ্ছে জন্মনিবন্ধন। আবার ছুটতে হচ্ছে ইউনিয়ন কিংবা কাউন্সিলর কার্যালয়ে। সেখানে দীর্ঘ জটলায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
এদিকে কোনো কারণে জন্মনিবন্ধন করার সময় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করতে যেতে হচ্ছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। ইউপি চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জন্মনিবন্ধন সনদ দিলেও তিনি তা সংশোধন করতে পারছেন না। সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে। সবকিছু মিলে কঠিন অবস্থা। কোভিড পরিস্থিতি এবং লকডাউনের মাঝে জন্মনিবন্ধন নিয়ে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
কোনো কোনো অভিভাবক কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। কিন্তু অনলাইনের রেকর্ড দিয়ে কাজ হচ্ছে না। চূড়ান্ত সনদপত্র নেওয়ার জন্য তাদের যেতে হচ্ছে ইউনিয়ন বা কাউন্সিলর অফিসে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, টাকা খরচ করেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না।
বোয়ালখালীর পৌর মেয়র বলেন, সকাল থেকে মানুষ ভিড় করেন। জন্মনিবন্ধনের জন্য মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট করছেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেও তাদের কষ্ট লাঘব করতে পারছি না। আমার ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বসবাস। এই বিপুল সংখ্যক লোকের জন্য কম্পিউটার একটি। ডাটা অপারেটর রয়েছেন একজন। তার পক্ষে সারা দিন চেষ্টা করেও মানুষের চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি কাজ করেও মানুষের ভোগান্তি লাঘব করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক লোকের আবেদন পাচ্ছি। এখানে প্রচুর ভুলভ্রান্তি থাকে। এগুলো সংশোধন করে একেকটি সনদপত্র তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। আরো অন্তত দুটি কম্পিউটার এবং দুজন অপারেটর বসাতে পারলে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কাউন্সিলল বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সার্ভার বড় সমস্যা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও সার্ভারে ডাটা প্রবেশ করানো সম্ভব হয় না। অথচ শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শুধু ছাত্রছাত্রীর ইউনিক ডাটাবেস নয়, পাসপোর্ট করা, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে করে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের পাশাপাশি মানুষ নিজেদের অন্যান্য প্রয়োজন মিটানোর জন্য জন্মনিবন্ধন সনদপত্র সংগ্রহে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ভিড় করেছেন।
সার্ভারের বেহাল দশায় একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মোহাম্মদ রাজ্জাকুল আলম নামে একজন অভিভাবক বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদপত্র সংগ্রহের জন্য অফিস থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু চারদিন ধরে চেষ্টা করেও সনদপত্র পাইনি। কখন, কীভাবে পাব তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। আমার মতো শত শত মানুষের অবস্থা একই। চোখের সামনে কম্পিউটারে অপারেটরকে চেষ্টা করতে দেখছি। কিন্তু সার্ভার ডাউন হওয়ায় ডাটা ইনপুট হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে এত স্বল্প সময়ে ইউনিক ডাটাবেস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া ঠিক হয়নি। এজন্য আরো বেশি সময় দেওয়া দরকার ছিল। তার মতে, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে অন্তত তিনটি কম্পিউটার দরকার।
একজন অপারেটর বলেন, অনলাইনে নতুন সব নিয়মকানুন যুক্ত করে আমাদেরকে নাজুক অবস্থায় ফেলেছে। ম্যানুয়ালি শত শত মানুষকে জন্মনিবন্ধন সনদপত্র দিয়েছি। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে সার্ভিস দিতে পেরেছি। এখন অনলাইনে করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছি। সার্ভার ডাউন থাকায় দিনে কাজ করতে পারি না। রাতে সার্ভার কিছুটা গতিশীল হয়। তখন কাজ করতে হয়। রাত দুইটা-আড়াইটা পর্যন্ত কাজ করেও মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জন্মসনদে নতুন কিছু নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিকে শৃক্সখলায় আনার জন্য নতুন নিয়ম করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিক ডাটাবেস বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। এই চাপ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেক ভালো কাজের জন্য একটু কষ্ট করতে হয়। বর্তমানে যে ভোগান্তি চলছে তা বেশিদিন থাকবে না। ছাত্রছাত্রীদের জন্মনিবন্ধনের ব্যাপারটি মিটে গেলে একটি বড় কাজ হয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে জীবনে আর এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে না। এই ডাটাবেস ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সারা দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ইউনিক ডাটাবেস তৈরি করা বেনবেইজের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্প এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। আগামী ৬ জুন প্রকল্পটি উদ্বোধন করার কথা।