জাতীয়

ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিনে ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে মহড়ার ভিডিও নিয়ে হইচই


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কে এম জিল্লুর রহমানের জন্মদিনে ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিও নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জিল্লুর মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। তাঁর পেছনে বসে একজন পিস্তল উঁচিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নেমেছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে কে এম শোভন নামের এক তরুণ ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেন। ভিডিওতে তাঁকেই মোটরসাইকেলের পেছনে বসে পিস্তল উঁচিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। শোভনের দাবি, তাঁর চাচা কে এম জিল্লুর রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যাওয়া পিস্তলটি প্লাস্টিকের তৈরি এবং এ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল একটি নাটকের জন্য।

ভিডিওটি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেছে পুলিশ। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। প্রাথমিকভাবে পিস্তলটি খেলনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে খেলনা হলেও এ ধরনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ঠিক হয়নি।

১৫ সেকেন্ডের এ ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের পাশের রাস্তায়। ভিডিওটিতে কোনো তারিখ বা সময় উল্লেখ নেই। ভিডিওটি পোস্ট করার পর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল চারটার মধ্যে ৪৫১ জন ভিডিওটি দেখেছেন, ৩১ জন মতামত দিয়েছেন ও ২১৫ জন শেয়ার করেছেন। তবে সন্ধ্যার আগে ভিডিওটি আর শোভনের ফেসবুক আইডিতে পাওয়া যায়নি।

কে এম জিল্লুর রহমানের বড় ভাই কে এম জাকির হোসেন বর্তমানে বনপাড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। ভিডিওর বিষয়ে কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘ওদের (ভাই ও ভাতিজা) মাথায় বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। নাটকের একটা দৃশ্য পোস্ট করে শুধু শুধু হইচই ফেলেছে। ওটা আসল পিস্তল নয়। ওদের ইউটিউবে ছাড়ার জন্য শুটিং করেছিলমাত্র।’

ভিডিওটি নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করার কথা স্বীকার করে কে এম শোভন বলেন, ওই দৃশ্য ‘নেতা’ নামের একটি নাটকের শুটিং করার সময় ধারণ করেছিলেন। চাচার জন্মদিনে অন্য কোনো ছবি পাচ্ছিলেন না। তাই শুভেচ্ছা হিসেবে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। ছাড়ার পর বুঝেছেন, এটা পোস্ট করা ঠিক হয়নি।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁরা ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। তদন্তে ভিডিওটি ‘নেতা’ নামের একটি শর্টফিল্ম থেকে নেওয়া বলে মনে হয়েছে। দেখানো পিস্তলটি প্লাস্টিকের এবং সেটাও তাঁরা জব্দ করেছেন।

সুত্র: প্রথম আলো