২৮ জুলাই চট্টগ্রামে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐহিত্যবাহী কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে অধ্যয়ন করছেন ৫হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
সরজমিনে দেখা গেছে, সীমানা প্রাচীর না থাকায় ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খেলার খোলা মাঠ, বেশ কয়েকটি পুকুরসহ মূল্যবান জায়গা এখন অন্যদের দখলে। টয়লেটের দূগর্ন্ধ ও জরার্জীণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করেন শিক্ষকরা। জরাজীর্ণ দুইটি ভবন এখন ধসে পড়ার প্রহর গুনছে। যেকোনো মূর্হুতে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। কক্ষ সংকটের কারণে কোনো এক শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে বন্ধ থাকে অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান। শ্রেণি কক্ষের ছাদ ছুঁয়ে পড়ে পানি। খাবার পানির জন্য রয়েছে একটি মাত্র টিউবয়েল। শিক্ষাথীদের দুইটি শৌচাগারে নেই পানি। প্রসাবের দূর্গন্ধে শ্রেণি কক্ষে থাকা দায়। নেই অডিটোরিয়াম। ভবনের ছাদ ছুঁয়ে পড়া পানিতে নস্ট হচ্ছে লাইব্রেরির বই। নেই লাইব্রেরিয়ান। অবহেলায় পড়ে আছে রসায়ন বিভাগের ল্যাব ও আইসিটি ল্যাবের যন্ত্রাংশ। নেই ছাত্র-ছাত্রীদের কমন রুম। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের পদ রয়েছে ২-৩ জন। এর মধ্যে ৮টি পদ শুন্য। শিক্ষক সংকটে মোকাবেলায় রয়েছেন অতিথি শিক্ষক। শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী আবাসন ব্যবস্থা নেই। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১৬টি পদের এর বিপরীতে কর্মরত আছেন তিনজন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর জরাজীর্ণ ভবনগুলো বিপদজনক চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় অরক্ষিত কলেজে বেড়েছে বহিরাগতদের আনাগোনা। বেহাত হচ্ছে কলেজের ১৯ দশমিক ৪ একরের ভূ-সম্পত্তি। ¯œাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন তারেক বলেন, দু:খ লাগে প্রাণের এই বিদ্যাপীঠের বেহালদশা দেখে। কলেজের সমস্যা সমাধানে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেই। অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. পার্থ প্রতীম ধর বলেন, এ কলেজে দুইটি বিষয়ে অনার্স কোর্স, ¯œাতক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ৫২৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের নতুন করে পদ সৃষ্টির প্রয়োজন। যে কয়েকজন শিক্ষক আছেন এরমধ্যে ৮টি পদ শুন্য। তিনজন কর্মচারী নিয়ে কলেজ পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টকর। কলেজের সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ১৯৩৯ সালে কানুনগোপাড়া গ্রামের রসিক চন্দ্র দত্ত ও রতœগর্ভা মুক্তকেশী দত্তের জ্যেষ্ঠপুত্র রেবতী রমণ দত্ত তাঁরই পরম শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষাবিদ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এর নামে এ কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে সরকার কলেজটিকে জাতীয়করণ করেন।