নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেপ্তারের পর দুইদিনের রিমান্ড শেষে তিতাসের ৮ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.আক্তাবুজ্জামানের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করে।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- এ্যাড.সুলতান মাহমুদ। এই আইনজীবী দাবি করেন, মামলার ধারা অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত না হওয়ায় আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে মুচলেকার শর্তে তিতাসের ৮ কর্মকর্তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন। আজ বিকেলের মধ্যেই আদালতের এই জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানো হবে এবং সন্ধ্যায় আসামিরা কারামুক্ত হবেন।
এর আগে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ নিজ এলাকা থেকে তিতাসের এই আটজনকে বিস্ফোরণের মাম লায় গ্রেপ্তার করে পুলিশের তদন্ত বিভাগ সিআইডি। দুপুরে সিআইডি’র ডিআইজি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিতাসের এই আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত তিতাসের ৮ কর্মকর্তা হলেন- তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া (৩৩), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৪২), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান রাব্বী(৩৪), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার(৩২), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের প্রকর্মী মো.ইসমাঈল প্রধান(৪৯), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের সাহায্যকারী মো.হানিফ মিয়া(৪৮), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের সিনিয়র উন্নয়নকারী মো.আইয়ুব আলী(৫৮), তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের সিনিয়র সুপারভাইজার মো.মনিবুর রহমান চৌধুরী(৫৬)।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনায় অবহেলার জন্য দায়ী অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এই মামলায় তিতাসের এই আট কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি মোবারক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে দুইদিনের রিমান্ডে এনেছে সিআইডি পুলিশ। রিমান্ড শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।