জাতীয়

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে বাস, দুর্ভোগে মানুষ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজধানীতে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

বুধবার (৩১ মার্চ) প্রথম দিনেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসমুখী যাত্রীরা। বাস না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, শনিরআখড়া, কাজলা, রায়েরবাগ, মেডিকেল এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সবকিছু খোলা রেখে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এমনিতেই অফিসে যাওয়ার সময় ও অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় রাজধানীতে পরিবহন সংকট দেখা দেয়, এর উপর অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করবে। কারণ গণপরিবহন তো বাড়েনি।

রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন সকালে শ্রাবণ পরিবহনের বাস সারি বেধে যেখানে দাঁড়িয়ে থাকে, সেখানে বুধবার সকালে ছিলো বাসের জন্য যাত্রীদের হাহাকার। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে এসব বাস গুলিস্তানে চলাচল করে থাকে।

রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে হাজার হাজার মানুষকে সড়কের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। খানিক পর পর দু-একটি বাস আসলেই কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন যাত্রীরা।

এই রুটে চলাচল করা রজনীগন্ধা, লাব্বাইক, অনাবিল, মৌমিতা পরিবহনের বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

রায়েরবাগ-শনিরআখড়া-কাজলা-গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের বাসগুলো সকাল থেকে বাসগুলো সরকারি বিধি মেনে দু-সিটে একজন যাত্রী পরিবহন করছিলেন। কিন্তু সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহনের কারণে বাসস্ট্যান্ডে বিপুল লোক জমে যায়। এক পর্যায়ে সাড়ে ৯টা থেকে বাস আসলেই পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। তখন বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিলো না।

শনিরআখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী মোড়ে হাজার হাজার যাত্রীকে রাস্তায় গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে সকাল ১০টার দিকে গুলিস্তান, জিপিও মোড় ও পল্টন মোড়ে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।

গুলিস্তান যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন মো. অহিদুল ইসলাম। তিনি মতিঝিলের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি বলেন, অফিস-আদালত সব আগের মতো খোলা কিন্তু বাসে যাত্রী পরিবহন অর্ধেক করে দিল সরকার। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত! কোনো কিছু চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। বাস না পেয়ে সকাল থেকে আমার পৌনে এক ঘণ্টা নষ্ট হয়ে গেছে। কতক্ষণে বাস পাব জানি না।

গুলিস্তানের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলা তো এমনিতেই বাসের সংকট হয়। এর মধ্যে বাস না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহন অর্ধেক করে দিলো, এটা কেমন সিদ্ধান্ত। আমাদের ভোগান্তি বাড়লো।

করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

পরে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকরের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।