জাতীয়

আমেরিকার পরামর্শে বিএনপি র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আমেরিকায় ৯/১১ এর ঘটনার তারা সন্ত্রাস দমনে বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়েছিল, আর সেই পরামর্শেই বিএনপি সরকার র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‌্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম এ দেশের মানুষই করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা একটু বুদ্ধিজীবী, তারা নানা ধরনের সংগঠন করে। আর এই সংগঠনের মাধ্যমে তাদের পয়সা জোগাড় হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলেই তারা পয়সা জোগাতে পারে। আমাদের র‌্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম এ দেশের মানুষই করেছে। অন্যদের দোষ দিয়ে কী হবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব সৃষ্টি হয়েছিল আমেরিকায় যখন ৯/১১ হলো, তারপরে তারা সন্ত্রাস দমনে বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়েছিল। আর সেই পরামর্শে তখন বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায়, তখন তারা এই র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল। অবশ্য র‌্যাব সৃষ্টি করে তারা র‌্যাবকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃতপক্ষে এ দেশে জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন অথবা নারী নির্যাতন বা যেকোনো একটা হত্যাকাণ্ড হলে তদন্ত করা—এ ধরনের মানবিক কাজই করেছে র‌্যাব। মানবাধিকার লঙ্ঘন না, মানবাধিকার সংরক্ষণে তারা কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষ আছে, এটা দুঃখজনক। এদের কাজটাই হচ্ছে বাংলাদেশ যখন কোনো একটা অস্বাভাবিক সরকার থাকে অর্থাৎ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী কেউ ক্ষমতায় থাকলে তখন তারা খুব ভালো থাকে। কারণ তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। কিন্তু যখন একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকে তখন বোধ হয় তারা ভালো থাকে না, তাই সবসময় তারা গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। যত ভালো কাজ আপনি করেন তারা কোনো কিছু ভালো দেখতে জানে না।

শেখ হাসিনা বলেন, এরা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং নানা ধরনের চিঠি ইত্যাদি, র‌্যাব সম্পর্কেও তারা অনেক অভিযোগ করেছে। এই নানা ধরনের অপপ্রচার তারাই বিদেশে বেশি বলেছে। ওখানকার যারা কংগ্রেসম্যান, সিনেটর তাদের কাছে বারবার তথ্য পাঠানো, চিঠি পাঠানো, একটা ঘটনা ঘটলেই পাঠানো—এভাবে নানাভাবে অপপ্রচার করেছে। আমাদের অ্যাম্বাসি সবসময় সক্রিয় ছিল। কিন্তু যখন এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছে, তখন কিন্তু অ্যাম্বাসির কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা ২/৩ বছর আগের কথা। আমরা বার বার তাদের জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ একমাত্র দেশ এখানে র‌্যাবের কোনো সদস্য যখনই অন্যায় করেছে, সাথে সাথে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের একজন মন্ত্রী, তার মেয়ের জামাই আর্মি অফিসার ছিল, সে একটা অপরাধ করেছিল, মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা তাকে ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সে যেই হোক এবং সেটা আমরা করছি। এরকম যখন কোনো আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী সংস্থার কেউ অন্যায় করলে আমরা কিন্তু সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু থাকে না। তার পরেও আমাদের কিছু কিছু লোক র‌্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম করেছে। আমার দেশের মানুষ যদি বদনামটা করে, তাহলে এখানে তো বলার কিছু নেই। সেভাবেই এই নিষেধাজ্ঞাটা এসেছে।