জাতীয়

এবার সন্তান নিয়ে ভারতীয় মা বাংলাদেশি বাবার দ্বন্দ্ব


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

জাপানি মা ও বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিক বাবার দুই মেয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব এরই মধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তার মধ্যেই এবার সন্তানের কর্তৃত্ব নিয়ে এক ভারতীয় মা ও বাংলাদেশি বাবার দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের জেরে ভারতীয় নাগরিক সাদিকা শেখের গতকাল বৃহস্পতিবার সন্তানসহ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দেন, যেহেতু ওই ছেলে শিশুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে, তাই আপাতত সাদিকা থাকবেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। সেখানে দুই বছর আট মাস বয়সী শিশুটি তার মায়ের কাছেই থাকবে। বাবা শাহীনুর নবী চাইলে ছেলেকে সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টায় নিয়ে যেতে পারবেন আর ফেরত দিয়ে যাবেন সন্ধ্যার আগে। তবে গুলশান থানায় সাদিকাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। দুই মাস পর এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। ওই সময় এ বিষয়ে শুনানি হবে।

গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সাদিকা শেখের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। অন্যদিকে শাহীনুর নবীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রেজা সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানসহ সাদিকাকে আদালতে হাজির করেন গুলশান থানার ওসি। এর পর শিশুর মা ও বাবার বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেন আদালত। ভারতীয় ওই নারীকে আদালতে হাজির করতে গত ৯ আগস্ট নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেদিন শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া জানান, ভারতের বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে হায়দরাবাদের বাসিন্দা সাদিকা শেখকে পছন্দ করেন বারিধারার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান শাহীনুর নবী। সাদিকাও হায়দরাবাদের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।

২০১৭ সালে হায়দরাবাদে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন তারা। কয়েক মাস পর ঢাকায় চলে আসেন ওই দম্পতি। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান। তবে সুখের সংসারে তাদের একপর্যায়ে অশান্তি নেমে আসে। সাদিকাকে মারধরও করেন তার স্বামী। ভারতের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বিষয়টি ভারতে মেয়েটির স্বজনরা জানতে পারেন।

এরপর ওই দেশ থেকে তাদের পরিবারের পক্ষে প্রথমে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়। তার পরও কোনো সমাধান না হওয়ায় পরে মেয়েটির বোন মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল্য অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট সাদিকা শেখ ও তার শিশুসন্তানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন ফ্লাড পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক লুলান চৌধুরী।