জাতীয়

এসএমএস না পেয়ে টিকাকেন্দ্রে ভিড় করবেন না: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেশে ছয় দিনব্যাপী করোনার গণটিকার কার্যক্রম চলছে। তবে কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় করোনার টিকা নিতে সুরক্ষা অ্যাপে যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের এসএমএস না পেলে কেন্রে য় অহেতুক ভিড় না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা কিন্তু বারবার সবার কাছে অনুরোধ করেছি, ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার পরে টিকা কেন্দ্র যাওয়ার জন্য। ক্ষুদে বার্তা না পেয়ে টিকাকেন্দ্র গিয়ে অহেতুক ভিড় করবেন না।’

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণটিকার কার্যক্রমে মানুষের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেক কেন্রেয়ে যে পরিমাণ টিকা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য আসছেন। এতে করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সংক্রমণও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই টিকা কেন্দ্র আসার সময় মাস্ক পরে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে আমাদের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি অহেতুক সেখানে ভিড় না করে ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার পর সেখানে যাই তাহলে দ্রুতই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘একটু সুশৃঙ্খল হলে, টিকা কেন্দ্রে জনসমগম অনেকটা কমে আসবে। অন্য বা গণটিকা কার্যক্রম চলছে যেসব কেন্দ্রে, সেসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। এখানে প্রশাসনের সঙ্গে তারা কাজ করছে। তাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে আমরা আশা করি এই সমস্যা থাকবে না।’

দেশে শনিবার থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার। এই কার্যক্রম চলবে ছয় দিন।

সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সাত দিনে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব, ৭ আগস্ট কমসংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে। শতকরা হিসেবে আমরা আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের হার খানিকটা কম পেয়েছি, তা হলো ২৫.৬৫ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ১ আগস্ট শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ২৯.৯৫ শতাংশ।’

স্বাস্থ্য মুখপাত্র বলেন, ‘বিগত ৩০ দিনে সংক্রমণের যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই, সেটি প্রায় কাছাকাছি একটি অবস্থাতেই আছে। এই সময়ের মধ্যে খুব বেশি উল্লেখ করার মতো বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সংক্রমণের যে চিত্রটি আছে, সেখানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জুলাই মাসে চিহ্নিত হয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন।’