আন্তর্জাতিক

করোনায় মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড ভারতের, কমছে আক্রান্ত


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করেছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী সোমবার দেশটিতে মারা গেছেন ৪ হাজার ৩২৯ জন। এর আগে বিশ্বের কোনো দেশে করোনায় এক দিনে এত সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে এই দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১৬ জন।

এই তালিকায় মহারাষ্ট্রের পরেই আছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটক। সোমবার সেখানে মারা গেছেন ৪৭৬ জন করোনা রোগী।

এ রোগে ৩০০ মৃত্যুর হিসেব নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতের অপর রাজ্য তামিলনাড়ু। উত্তর ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ আছে চতুর্থ অবস্থানে। সোমবার সেখানে মারা গেছেন ২৮৫ জন করোনা রোগী।

এছাড়া ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়াণা, অন্ধ্রসহ মোট ১২ টি রাজ্যের প্রতিটিতে সোমবার শতাধিক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় মৃত্যুর বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গত তিন দিনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশটিতে প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা। শনিবার ভারতে মারা গিয়েছিলেন ৪ হাজার ৭৭ জন করোনা রোগী। পরের দিন রোববার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছায় ৪ হাজার ১০৬ জনে। অবশেষে সোমবার ৪ হাজার ৩২৯ জন মৃতের হিসেব নিয়ে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করল ভারত।

ভারতে সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তারপর বছর জুড়ে চলতে থাকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু।

গত বছর নভেম্বরের দিকে অবশ্য কমতে শুরু করেছিল ভারতে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুহার। ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল সর্বনিম্ন। সে সময় গড়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারেররও কম।

কিন্তু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বাড়তে শুরু করে সংক্রমণের হার। এপ্রিলে তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে যত সংখ্যক সক্রিয় করোনা রোগী আছেন, তার প্রায় ৫০ শতাংশই ভারতে।