চট্টগ্রাম

করোনা সংক্রমণ বাড়লে রফতানিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা: সৈয়দ নজরুল ইসলাম


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পোশাক কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি ও সব কর্মীর করোনা টিকা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, কারখানার মালিক-শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে রফতানি খাতে সমূহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) নগরের সাগরিকা বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স মিজাব লিমিটেডের কারখানায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত কার্যক্রম পরিদর্শনে তিনি এসব কথা বলেন।  

একই সঙ্গে তিনি অর্থনৈতিক ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হিসেবে পোশাকশিল্প শ্রমিকদের দ্রুত টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।  

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে কারখানায় প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জোনভিত্তিক বিজিএমইএর ক্রাইসিস মনিটরিং টিমের নিয়মিত পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজিএমইএ নেতারা কারখানাটি পরিদর্শন করেন।  

শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম আহসানুল হক, মোহাম্মদ হাসান (জ্যাকি), বিজিএমইএ কমপ্লায়েন্স বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আ ন ম সাইফউদ্দীন ও মেসার্স মিজাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ফিরোজ, সাগরিকার বিজিএমইএ ক্রাইসিস মনিটরিং টিমের সদস্য, মিজাব লিমিটেড ও বিজিএমইএর কর্মকর্তারা।  

রাকিবুল আলম চৌধুরী জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে পোশাক শিল্প তথা মালিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণে সরকারের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

কভিড-১৯ বিষয়ে গঠিত বিজিএমইএর ক্রাইসিস মনিটরিং টিম কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় শ্রমিকদেরকে কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার, কারখানায় প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক/সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও পা পরিষ্কার, থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা, কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিজিএমইএ হাসপাতালে করোনা টেস্ট ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা বিষয়ে অবহিত করাসহ বিজিএমইএ কর্তৃক প্রকাশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার এবং ডাইফ কর্তৃক প্রদানকৃত পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া কারখানায় যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সেকশান/ফ্লোর অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো মনিটরিং করা হয়।  
চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন তদারকির লক্ষ্যে বিজিএমইএ কর্তৃক পোশাক শিল্পের মালিকদের সমন্বয়ে ১০টি জোনভিত্তিক ক্রাইসিস মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।